বর্ষণের মেঘ সরে গিয়ে স্যাবাইনা পার্কে রোদেলা দুপুর। অপেক্ষার প্রহর শেষে বাংলাদেশের টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া। অধিনায়ক বেশ ভরসা করলেন। এমন দিনে ব্যাটিং নিলেন। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ টস শেষে বলেই বসলেন, উইকেটটা নাকি বেশ ভাল।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বাংলাদেশের আরেক পতাকাবাহক আতাহার আলী খান। তিনিও জানালেন বেশ সাহসী সিদ্ধান্ত। বৃষ্টি শেষে, ঘাসযুক্ত উইকেটে ব্যাটিং করা ঝড়ের দিনে নৌকা বেয়ে যাওয়ার মতই তো। অবশ্য মিরাজের ভরসা যে ছিল তলাফাটা নৌকাতে। টপ অর্ডার যে থেকেও নেই, সে কথা সম্ভবত বেমালুম ভুলে গেলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
মাহমুদুল হাসান জয় অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ভীষণ নড়বড়ে। মুমিনুল হকের দশা, এই খারাপ তো এই ভাল। জাকির হাসানের বদলে সাদমান ইসলাম একাদশে। তিনিও আবার মন্দের ভাল। তবুও মিরাজ সাহস দেখালেন। তিনি হয়ত ভেবেই বসলেন, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবেন।
টপ অর্ডারের দুর্দিনে, কঠিন পরীক্ষাই ফেরাবে তাদের ফর্মে। মিরাজকে বলা হয় ভবিষ্যত অধিনায়ক। দায়িত্বটা যদিও এখনই তিনি পালন করছেন। কিন্তু যে ভারের দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন, সেই ভার সইতে যে ভীষণ কষ্ট- তা সম্ভবত হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন।
জয় ফিরলেন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে। ব্যাটের সাথে সংক্ষিপ্ত মোলাকাতে বল ছুটেছে উইকেটরক্ষকের দস্তানায়। একই দশা মুমিনুলের। দশ রান তুলতেই দুই ব্যাটার সাজঘরে। মিরাজের যেন মাথায় হাত, খাল কেটে কুমিড় আনার নতুন দৃষ্টান্ত।
দোষ অবশ্য কারোরই নেই। আউট হওয়ার দায় কি করে কারো হয়? অধিনায়কেরও বা কি দোষ? তিনি তো চেয়েছিলেন টপ অর্ডারকে টপফর্মে ফেরাতে। কিন্তু তিন এককের মিউজিক্যাল চেয়ারে, সাদমানরা বেশ আরামেই আছেন। অযথা কেন হ্যাপা নেবেন? তাই সম্ভবত টপ অর্ডাররা ইশারায় জানিয়ে দিলেন দেখেন যা ভাল মনে করেন, তাই করেন।