দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন নাসির হোসেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও গত দুই বছর ধরে নিয়মিত নন এই অলরাউন্ডার। গত মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও ব্যাটে বলে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। তবে এবার ঘরোয়া লিগ শুরুর আগে নাসিরের লক্ষ্য লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে আবার জাতীয় দলে ফেরা।
আগামী মাস থেকে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। এই লিগ দিয়েই দীর্ঘ দিন পর মাঠে ফিরবেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। ইতোমধ্যে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। নাসিরও এনসিএল সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন এনসিএল নিয়ে তাঁর লক্ষের কথা। নাসির বলেন, ‘ঘরোয়া লিগে আমি সব সময়ই চেষ্টা করি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে। এটাই সব সময় চেষ্টা করি। এবারও যখন শুরু হবে, এটাই আমার লক্ষ্য থাকবে যেন আমি সর্বোচ্চ রান শিকারি হতে পারি।’
বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন কারণেই ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন নাসির। ব্যক্তিগত জীবনেও এই সময় জন্ম দিয়েছেন নানা বিতর্কের। তবে এর পরেও সমর্থন পেয়েছেন ভক্তদের কাছে থেকে। নাসির জানিয়েছেন আবার জাতীয় দলে ফিরে ভক্তদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান তিনি। আবার জাতীয় দলে ফিরতে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘আমি আবার জাতীয় দলে ফিরে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। তাদের উদ্দেশ্যে আমি এটাই বলবো যে, তাঁরা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সবার কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমি আবার জাতীয় দলে ফিরবো।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছেন নাসির। বিয়ের অনেক আগেই জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ বার মাঠে নেমেছিলেন তিনি। নাসির জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রীর ইচ্ছে তাকে জাতীয় দলে দেখার। এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন তিনি চেষ্টা করবেন স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করতে।
এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণ করতে। যত দিন ক্রিকেট খেলবো আমি চেষ্টা করবো জাতীয় দলে আবার কামব্যাক করতে। আমার মনে হয়, এটাই সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন আবার জাতীয় দলে কামব্যাক করা।’
আবার জাতীয় দলে ফিরতে ফিটনেসের উন্নতি করা ও পারফরম্যান্স করার কোন বিকল্প নেই নাসিরের কাছে। এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন করোনার কারণে অনুশীলনের জন্য উইকেটই পাচ্ছেন না তাঁরা। করোনার কারণে বিসিবি একাডেমী মাঠ ও মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
মূলত জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণেই এই সমস্য হয়েছে। তবে এখন জাতীয় দলের কোন খেলা না থাকায় উইকেট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী নাসির। তিনি বলেন, ‘ফেরার জন্য আসলে অবশ্যই ট্রেনিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করছি। যেহেতু করোনার কারণে অনুশীলনের জন্য উইকেট সেই ভাবে পাচ্ছি না। আমার বিশ্বাস, আমরা এখন উইকেট পাবো। তো অবশ্যই ব্যাটিং বোলিং দুইটোই করবো।’