টেস্ট দুনিয়া কাঁপানো এক গৌরবজনক ব্যর্থতা

প্রতি বছর কাটার সাথে সাথে যেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নাথান অ্যাস্টলের বিস্ময়কর ২২২ রান আরও অসাধারণ বলে মনে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব, সব ধরণের নতুন শটের আবির্ভাব, অনেক মোটা ব্যাট, – তবুও এখনও, দুই দশক পরেও, অ্যাস্টলের দ্রুততম টেস্ট ক্রিকেট ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডটি অক্ষত।

প্রতি বছর কাটার সাথে সাথে যেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নাথান অ্যাস্টলের বিস্ময়কর ২২২ রান আরও অসাধারণ বলে মনে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব, সব ধরণের নতুন শটের আবির্ভাব, অনেক মোটা ব্যাট, – তবুও এখনও, দুই দশক পরেও, অ্যাস্টলের দ্রুততম টেস্ট ক্রিকেট ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডটি অক্ষত।

ক্রাইস্টচার্চের ওল্ড জেড স্টেডিয়ামে সেই চমকপ্রদ ইনিংস, যেখানে ক্যান্টাব্রিয়ান নাথান অ্যাস্টল তার ঘরের মাঠে একটি অবিশাস্য ইনিংসে খেলেও পরাজিত দলের সদস্য হিসেবে সাজ ঘরে ফেরেন।

ব্ল্যাক ক্যাপসরা শেষ পর্যন্ত টেস্টে ৯৮ রানে হেরে যায়; তাদের ৪৫১ – সর্বকালের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ চতুর্থ ইনিংস টেস্টের স্কোর হিসেবে রয়ে গেছে – অ্যাস্টেল তার প্রায় অর্ধেক একাই করেছিলেন সেদিন।

মাত্র তিন সপ্তাহ আগে, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২১২ বলের চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক দ্বি-শতক করার মাধ্যমে টেস্টে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড করেন।
এবং যা সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে কম আলোচিত টেস্ট ডাবল-সেঞ্চুরি হিসাবে পরিচিত, ইংল্যান্ডের গ্রাহাম থর্প এই বিস্ময়কর খেলার তৃতীয় দিনে নিজেই ২৩১ বলে ২০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন, যা সেই সময়ে ছিল তৃতীয় দ্রুততম ২০০।

কিন্তু তারপর এলেন অ্যাস্টল, নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডান-হাতি ব্যাট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এটাই ছিল তার একমাত্র ডাবল টন। এবং কি স্টাইলে তিনি খেলেছিলেন সেদিন!
তৎকালীন ৩০ বছর বয়সী, তার ৮১-টেস্ট ক্যারিয়ারের অর্ধেক পথ পেরোনো অ্যাস্টলের লেগেছিল মাত্র ১৫৩ টি ডেলিভারি, গিলক্রিস্ট এর রেকর্ডকে উড়িয়ে দিতে। শেষ পর্যন্ত তার নকটিতে ২৮টি চার এবং ১১টি ছক্কা ছিল – অর্থাৎ, অবিশ্বাস্য-ভাবে ১৭৮ রান এসেছে শুধু বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি থেকেই!

এমনকি অ্যাস্টলও সেদিন মাঠের মাঝে যা ঘটেছিল তাতে বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি এর আগেও আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেছেন, তবে এটা ছিল সত্যিই একটি বিশেষ ইনিংস। ২০১৭ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি স্টাফ-কে বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস যা আমাকে অবাক করেছিল, এত বছর ক্রিকেট খেলার পরেও, এদিনের মতো এত দীর্ঘসময় ধরে টানা আমি কোনোদিন এত ক্লিন হিটিং করিনি।’

‘যিনি কোনোদিনও ক্রিকেট খেলেছেন তারা জানেন যে আপনি সাধারণত একটা ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যখন যান – তখন আপনি বল পরিষ্কার দেখেন ও ভালো টাইমিং বা ক্লিন হিট হয়, কিন্তু কিছুক্ষন বাদে এই ফেজটা কেটে যায়। আরেকটা ব্যাপার হলো যখন আমি সেই জোনে ছিলাম, তখন সবকিছু কেমন আস্তে আস্তে ঘটছে বলে মনে হচ্ছিল।’

  • অসম্ভব রান তাড়া

ওডিআই সিরিজে ইংল্যান্ডের ৩-২ ব্যবধানে পরাজয়ের পর প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে সবুজ ড্রপ-ইন পিচে আগে ব্যাট করতে পাঠান স্টিফেন ফ্লেমিং এবং ক্রিস কেয়ার্নস মার্কাস ট্রেসকোথিক এবং মার্ক বুচারকে প্রথম পাঁচ বলের ভেতরে তুলে নেবার পরে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ০/২!

তবে নাসের হুসেইন ইংল্যান্ডকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনেন। অন্য কেউ ৩১ এর বেশি স্কোর না করলেও অধিনায়ক, স্টিফেন ফ্লেমিং এর স্লিপে বিরল ক্যাচ ড্রপ থেকে জীবন পেয়ে একটা মজবুত ১০৬ করে দলকে ২২৮ রানে পৌঁছে দেন ও শেষ ব্যক্তি হিসাবে আউট হন।

জবাবে, ব্ল্যাক ক্যাপসরা ৫১.২ ওভারে মাত্র ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় – নাইটওয়াচম্যান ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৩ নম্বরে নেমে ৪২ রান করে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেন; ম্যাথিউ হগার্ড একটি দুর্দান্ত স্পেল করেন (৭-৬৩)।

প্রথম ইনিংসের ৮১ রানের ঘাটতি এবং অফুরন্ত সময়ের সামনে, স্বাগতিকদের বল নিয়ে লড়াই শুরু হয় এবং অভিষেক-কারী ইয়ান বাটলার এবং ক্রিস ড্রামের বোলিং ইংল্যান্ডকে ১০৬-৫ এ নামিয়ে আনে।

কিন্তু, এই গল্পে ভাগ্যের নির্মম আঘাত আসে যখন অ্যাস্টল দ্বিতীয় স্লিপে থর্পকে ড্রপ করেন, এবং ইংল্যান্ডের এই বাঁ-হাতি অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সাথে ২৮১ রানের বিশাল জুটি গড়েন – যা ষষ্ঠ উইকেটে ইংল্যান্ডের পক্ষে রেকর্ড। ইংল্যান্ড তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ৪৬৮-৬ এ ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে।

শনিবারের মেঘলা আকাশের নিচে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিন শুরু করে ২৮/০ স্কোরে। তাদের লক্ষ্য ছিল বিশাল ৫৫০ রানের – যা তৎকালীন সফল চতুর্থ ইনিংস তাড়া করার বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে প্রায় ১৫০ বেশি। প্রায় ১৮০ ওভার হাতে থাকা সত্ত্বেও এবং পিচ প্রায় ফ্লাট হওয়া সত্ত্বেও অলৌকিক কিছু ছাড়া এই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় সেটা সকলেই বুঝতে পেরেছিলেন।

ম্যাট হর্ন এবং লু ভিনসেন্ট তাড়াতাড়ি আউট হওয়ার সাথে সাথে, মার্ক রিচার্ডসন একদিন ধরে রেখে ৭৬ রান করেছিলেন এবং লাঞ্চের ১৫ মিনিট আগে যখন অ্যাস্টল উইকেটে আসেন তখন স্কোর ছিল ১১৯/৩।

তিনি সিঙ্গেল নিয়ে ইনিংস শুরু করলেও, লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে হগার্ডকে একটি অসম্ভব জোরে কাট মারেন, টিভি ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস বলেন: ‘এই হচ্ছে নাথান অ্যাস্টেল, এই শট তাঁর কাছে প্রথমবার নয় এবং শেষবারও নয়।’

  • ‘এরকম কিছু আগে দেখিনি’

ফ্লেমিংকে (৪৮) হারানো একটি বড় ধাক্কা ছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে, বিশেষ করে কেয়ার্নস হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছিলেন এবং সম্ভবত ব্যাট করতে পারবেন না মনে হয়েছিল। কিন্তু ক্রেইগ ম্যাকমিলান ক্রিজে তার সতীর্থের সাথে যোগ দিয়েছিলেন এবং স্কাই টিভির একটি সাক্ষাৎকারে অ্যাস্টল, তাদের বড় স্বপ্ন দেখার কথা স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, ‘ম্যাকা এবং আমি, আমরা একসাথে ব্যাটিং উপভোগ করি, আমরা দুজনেই একইভাবে খেলি,’ তিনি বলেছিলেন। ‘এবং আমরা কথা বলছিলাম যে এই ম্যাচ জিততে পারলে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। যদিও শুরুতে আমরা মজার ছলেই বলেছিলাম কিন্তু ধীরে ধীরে দুজনেই নিজেদের শট খেলতে থাকি।’

কিন্তু ম্যাকমিলান (২৪) দলের ২৪২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান, তারপরে অ্যাডাম পারোরে ১০ রান পরে, এবং ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠলে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যাকাশেও অন্ধকার নেমে এসেছে মনে হচ্ছিল। অবশ্যই, নাথান জন অ্যাস্টল অন্যরকম ভেবেছিলেন।

অ্যাস্টল ডাউন দা গ্রাউন্ড পাঞ্চ, যেকোনো সামান্যতম ওয়াইড বল পেলেই সজোরে কাট এবং শর্ট বল পেলেই পুল মেরে ১১৪ ডেলিভারিতে তাঁর শতরান পূর্ণ করেন ফ্লিন্টফকে হুক করে চার মেরে, যখন পরিবর্ত ফিল্ডার ক্রেগ হোয়াইট বাউন্ডারিতে মিসফিল্ড করেন।

কিন্তু পরের ওভারে ভেট্টরি আউট হয়ে গেলেন, তারপর ড্রাম এবং বাটলারও আউট হয়ে যান, এবং স্কোর দাঁড়ায় ৩৩৩-৯, যদিও আহত কেয়ার্নস ক্রিজে এসেছিলেন, রানার্স হিসাবে লু ভিনসেন্ট ছিলেন। এবার অ্যাস্টলে কিছুই হারানোর নেই জেনে পুরোপুরি খোলা মনে ব্যাট করতে থাকেন।

হগার্ডের পরের ওভারের প্রথম বলে তিনি এগিয়ে এসে তাকে সরাসরি সোজা ছক্কা মেরেছিলেন, যা টিভি ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রো-কে অনুকরণীয় ভঙ্গিতে, “হোলি কাউ” মন্তব্য করতে বাধ্য করে। অ্যান্ডি ক্যাডিকের পরের ওভারটি ৪, ৬, ৬, ৪ মেরে অ্যাস্টল শেষ করেন যার মধ্যে – কভারের উপরে এবং গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের ছাদে দুটো ছক্কা ছিল, তারপর একটি নতুন বল প্রয়োজন হয়। এবং ক্রো ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যান।

‘আমি আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি,’ ক্রো চেঁচিয়ে ওঠেন – ‘ক্যামেরাম্যানরা নিশ্চই শটগুলি ফলো করতে গিয়ে একেবারে পাগল হয়ে যাচ্ছে!’ ক্যাডিক, যার সাথে অ্যাস্টল ছোটবেলায় প্রচুর ক্রিকেট খেলেছিলেন, তার পরের ওভারের শুরুটা হয়েছিল ৬, ৬, ৬ – এবং অ্যাস্টল তাকে ৭ বলে ৩৮ রানে নিয়েছিলেন।

কভারের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ছক্কাটাকে ক্রো ‘শটগান স্টাফ’ বলে অভিহিত করেছিলেন, ব্যাটে বলে হবার আওয়াজটা এমনি জোরালো ছিল, পরের বল স্কোয়ার লেগে কেয়ার্নস তার মাথার উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেন, তারপরে সবচেয়ে বড় ছক্কাটা – লং-অন এর উপর দিয়ে কমেন্ট্রি বক্স ছাড়িয়ে উড়ে যায় এবং এমনকি এস্টলে কেও মুখ হাঁ করে নিজের শটকে এডমায়ার করতে দেখা যায়।

নিকোলাস বলেছেন, ‘ক্রিকেট বলে শট মারার একটি অসাধারণ প্রদর্শন যা আমি মনে করি না যে আগে কখনও দেখেছি।’; ‘বিশ্ব যা কখনও দেখেনি’, ক্রো যোগ করেছেন, ‘সর্বকালের সেরা ক্লিন হিটিং এর সবচেয়ে নিখুঁত প্রদর্শনী।’

  • ‘জাস্ট কিপ গোয়িং’

অ্যাস্টেল জাইলসকে সুইপ করে তার ২০০ পূর্ণ করেন; তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি মাত্র ৩৯ বলে এসেছিল। দু’হাত তুলে ব্যাট উঁচু করে, তিনি বিস্ময়ের সীমায় পৌঁছে যাওয়া দর্শকদের স্ট্যান্ডিং ওভেশন গ্রহণ করেন।

এই সময়ে তিনি কেয়ার্নসের সাথে আলোচনায় নিজের দ্বিধার কথা স্মৃতিচারণ করেন (যিনি ২৯ বলে ২৩ রানে শেষ করেছিলেন)। ‘যখন আমরা ১০০ রান (প্রয়োজনীয়) এর কাছাকাছি পৌঁছেছিলাম তখন আমি ভেবেছিলাম আমাদের জয়ের ভালো সুযোগ আছে, আমাদের দুটি ব্যাটসম্যান আছে, উইকেট ভাল ছিল, ফিল্ডিং ছড়িয়ে ছিল’, অ্যাস্টেল স্কাই-তে সাক্ষাৎকারে বলেছেন।

‘আমি কেয়ার্নসকে বলেছিলাম, আমরা কি এবার একটু ধরে খেলবো? তুমি কি বল? এবং কেয়ার্নস বলেন, না, না, আমরা একদম পারফেক্ট জোনে আছি, আমরা একটি মোমেন্টাম চেঞ্জ চাই না, তাই তুমি শুধু নিজের খেলা যেমন খেলছো খেলে যাও, প্রায় ৬০ [জয় করার জন্য রান] বা ৫০ বাকি থাকলে তখন আবার আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবো।’

হগার্ডকে আরও একটি ছয় মারার পরে, প্রয়োজনীয় রান হঠাৎ করেই তিন অঙ্কের নিচে নেমে আসে। কিন্তু, মাত্র দু-বল পরেই সব শেষ হয়ে যায়। যেন পুরোদমে চলতে থাকা পার্টি কেউ দুম করে বন্ধ করে দিল। অ্যাস্টল এগিয়ে গিয়ে, হগার্ডকে কাট করার জন্য নিজে সরে গিয়ে জায়গা নিয়েছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য যে কিপার জেমস ফস্টারের হাতে এজ করে তিনি আউট হয়ে যান। নিকোলাস মন্তব্য করেছিলেন – ‘আপনি কখনওই দেখতে চাইবেন না এমন সেরা বিনোদন শেষ হয়ে যাক।’

‘এটা এমন একটা ইনিংস ছিল, এমন একটা চেস ছিল যে, যদি আমরা জিততে সফল হতাম, তাহলে আমার ইনিংসটা আরও উজ্জ্বল হত। এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, হয়ত শেষ দিকে আমরা যেভাবে খেলেছি তা পরিবর্তন করলে ফল অন্য হতেও পারতো’ অ্যাস্টল স্কাই-চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন।

‘তবে আমরা সেখানে নিজেদের এক্সপ্রেস করছিলাম এবং আমরা শুধু ভেবেছিলাম যে সবকিছুই আমাদের পক্ষে চলছে তাই যদি আমরা এভাবেই একটি দুর্দান্ত জয় তুলে নেবো।’

ইংল্যান্ড দল বেকায়দায় পড়েছিল সেটা ম্যাচের সেরা(!) গ্রাহাম থর্প মেনে নেন। কয়েক বছর আগে, থর্প, দ্য টপ অর্ডার পডকাস্টে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আক্ষরিকভাবে যদি আরও ১০ ওভার ওরা টিকে যেত, নিউজিল্যান্ড জিতে যেত। আমার মনে আছে নাসের আমার কাছে এসে বলেছিল, আমি মনে করি এই খেলাটি জিততে আমাদের প্রায় আট ওভার আছে। আমি বললাম, ওদের এখনও ১০০ দরকার। সে বলল, ‘হ্যাঁ, কিন্তু তারা ১৬ পার ওভার স্কোর করছে। আমরা শেষ। ম্যাচ জিতে আমরা এমনভাবে সেলিব্রেট করছিলাম যেন আমরা একটি নেলবাইটার জিতেছি। (যদিও আমরা ৯৮ রানে জিতেছিলাম)।’

উইজডেন এই ইনিংসটিকে পরবর্তীকালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবজনক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link