রীতিমত পাগলাটে এক চরিত্র। খেলোয়াড়দের সবটুকু নিঙড়ে নিতে জানেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ লিমিট অবধি হাল ছাড়েন না নাথান কেলি। তার অধীনেই ফিটনেস উন্নতির ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
অজি মানসিকতার অভিধানে হার না মানা শব্দগুচ্ছ নেই বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়ান নাথান কেলিও ব্যতিক্রম নন। বাংলাদেশের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ স্বচ্ছ পরিকল্পনা আর দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। তিনি চান তার অধীনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের সর্বোচ্চ উন্নতি ঘটুক।
সিডনির ইউনিভার্সিটি অব টেকনলোজি থেকে স্পোর্টস এন্ড এক্সার্সাইজ সাইন্সেস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন নাথান কেলি। অস্ট্রেলিয়ান রাগবি দল থেকে তার ক্রীড়া জগতের সাথে যাত্রা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেটের সাথে জড়িয়েছেন নাথান কেলি।
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রাদেশিক ক্রিকেট ক্লাবের সাথে কাজ করেছেন তিন বছর চার মাস। এর আগে বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সের ডেরাতেও ছিলেন নাথান কেলি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত কোন এক জাতীয় দলের দায়িত্বে অজি এই ফিটনেস কোচ।
২০২৪ সালে টাইগার ক্রিকেটে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর থেকে টাইগার ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে বেজায় সিরিয়াস অজি এই কন্ডিশনিং কোচ। এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতির জন্যে লম্বা সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই সময়ের পুরোটা কাজে লাগাতে মরিয়া নাথান কেলি।
শামীম, সৌম্যদের ফুসফুসের শেষ অক্সিজেন অবধি লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেন। তীক্ষ্ম নজরে তদারকি করেন সবকিছু। প্রতিটা মুহূর্ত তিনি খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করে যান। ঠিক যেন স্কুলের সেই কড়া শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক। ছেলেদেরকে ফিট করে গড়ে তোলাই যার মূল লক্ষ্য।
দুই বছর মেয়াদে তিনি নিযুক্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে দেড় বছর পেরিয়ে গেছে তার মেয়াদ। এবারের এশিয়া কাপের উপরই নির্ভর করবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে নাথান কেলির স্থায়িত্বকাল আর কতটুকু লম্বা হবে।