নাভিন উল হক, হাড়কিপটে এক উইকেট শিকারি

নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার কাজটা সহজ করে রেখেছে আফগানিস্তান।  তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির সাথে জিতলেই তারা চলে যাবে পরবর্তী রাউন্ডে। সেই কাজটাই সহজ করে দিল আফগানিস্তানের বোলাররা, বিশেষ করে নাভিন উল হক।

চলতি আসরে দূর্দান্তে ফর্মে আছে আফগান বোলিং ইউনিট। গেল দুই ম্যাচে কোনো দলকেই ১০০ রান করতে দেয়নি এই বোলিং ইউনিট। পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধেও দারুণ শুরু করলেন ফজল হক ফারুকিরা। ফারুকির সাথে এদিন জ্বলে উঠলেন আফগান ফাস্ট বোলার নাভিন উক হকও।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে খেলা এই বোলার তার লাইন, লেন্থ ও সুইংয়ে পরাস্ত করেন পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটারদের। ইনিংসে তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক রশিদ খান বোলিংয়ে নিয়ে আসেন নাভিনকে। প্রথম বলেই সাফল্য আনেন তিনি।

তাঁর শিকার পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটার হিরি। অফ স্ট্যাম্পের বাহির থেকে বলটি ভেতরে আসার সময় ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। পুরো ওভার জুড়ে তাঁর লাইন লেন্থে পরাস্ত করেন ব্যাটারদের। মাত্র এক রান আসে সেই ওভারে তাও ওয়াইড থেকে।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবারও পাপুয়া নিউ গিনির শিবিরে আঘাত হানেন নাভিন। এবার তাঁর শিকার ব্যাটার টনি উরা। ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্ট্যাম্প লাইন থেকে ভেতরে না ঢুকে বলের লাইন বরাবর সোজা চলে যায়। বলের এই সুইং বুঝতে না পেরে পরাস্ত হন ব্যাটার উরা। ফলে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে বলটি।

পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটারদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল স্পষ্ট। সেই ফায়দা লুটেছে আফগানিস্তান। দলের দারুণ ফিল্ডিংয়ের সহায়তায় মাত্র ৯৫ রানেই বিপক্ষ দলকে থামিয়ে দেন রশিদ খানরা। এদিন পাপুয়া নিউ গিনির ৪ ব্যাটার রান আউটের শিকার হন।

২.৫ ওভার বল করে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে দুইটি উইকেট নেন নাভিন। তাঁর করা ১৭ টি বলের মধ্যে ১৪টি বলেই কোনো রান নিতে পারেননি পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটাররা। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচেও ২ ওভার বল করে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন নাভিন উল হক।

সুপার এইটে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত আফগানিস্তানের। তাই এমন বোলিংয়ের সুবাদে পরের রাউন্ডেও অধিনায়কের ভরসার জায়গায় থাকবেন নাভিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link