দেশের বাইরে তাঁর একদমই খেলার সুযোগ হয় না। সাত বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম নামলেন ভিনদেশের কন্ডিশনে। ঐতিহাসিক ভাবেই নাকি গলের উইকেট স্পিনারদের হাত ভরে দেয়। নাঈম হাসান সেই ভাগ্যটা নিজের করে নিলেন।
গল টেস্টের চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পর একই ওভারে পেলেন দুই উইকেট। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কামিন্দু মেন্ডিস যখন সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তখনই তাঁকে ফেরালেন দূর্দান্ত এক ডেলিভারিতে।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বলটা ভেতরের দিকে ঢুকে এলো, মিডল ও অফে পিচ করে ব্যাটকে ভেতরের টেনে নিল, তারপর টার্ন আর বাউন্সে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল গেল সোজা উইকেটকিপারের গ্লাভসে। লিটন দাস সকাল থেকে নিজের তৃতীয় ক্যাচ ধরলেন।
সেই একই ওভারেই ফেরালেন থারিন্দু রত্নায়েকে-কে। তুলনামূলক দ্রুতগতির আর ফ্ল্যাট ডেলিভারি। গুড লেংথে রাখা হয়েছিল। নাঈম ঠিক ক্রিজে আটকে ফেলেছিলেন থারিন্দুকে। বলটা পিছনের প্যাডে লেগে স্টাম্পের উপরের অংশ ছুঁয়ে গেল। বোল্ড হয়ে ব্যাটার ফিরলেন সাজঘরে।
গল টেস্টের লাঞ্চের পর নতুন উদ্যোমে ফিরে আসে বাংলাদেশ দল। ছয় উইকেটে ৪৬৫ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ফিরে মাত্র ছয় রান তুলেই হারায় তিনটি উইকেট। ধ্বংসের মিছিল শুরু করেন হাসান মাহমুদ। তাঁর সাথে যোগ দেন নাঈম হাসান। হাসান একটি আর নাঈম দু’টি উইকেট নেন।
এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন প্রভাত জয়াসুরিয়া। নাঈম হাসান আসিথা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে মহাগুরুত্বপূর্ণ ১০ রানের লিড এনে দেন। নাঈম প্রথমবারের মত বিদেশি কন্ডিশনে খেলতে নেমেই নিলেন ফাইফার। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার নিয়ে সিজদাহ করলেন মাঠেই। স্মরণীয় করে রাখলেন গলের স্মৃতিকে।