এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়েছিল নেপালের ক্রিকেটার সন্দ্বীপ লামিছানেকে। নেপাল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার দুর্দশার শুরু সেখান থেকেই। দ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপাল থেকেও মিলেছিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বহিস্কারাদেশ। কার্যত, সেখানেই ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন লামিছানে।
তবে আবারো ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন এ লেগ স্পিনার। নিষেধাজ্ঞার ৪ মাস না পেরোতেই লামিছানের উপর থাকা সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড লিগ ২ এর আওতায় ঘরের মাটিতে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়েই আবারো ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিছানে। ত্রিদেশীয় সিরিজে নেপাল ছাড়াও খেলবে নামিবিয়া আর স্কটল্যান্ড।
তবে ক্রিকেটে ফিরলেও লামিছানেকে আদালতের বেশ কিছু নীতিমালার ভিতর দিয়েই যেতে হচ্ছে। যখন নেপাল বাইরের দেশে খেলতে যাবে, তখন লামিছানেকে খেলাতে হলে কোর্টের অনুমতি পত্র নিয়ে যেতে হবে। এখানে আদালত তাঁকে সেই আদেশ দিতেও পারে নাও পারে। এর পুরোটাই নির্ভর করবে তাদের সিদ্ধান্তের উপর। ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এমনটাই জানিয়েছেন দ্য নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রিকেটের (সিএন) প্রধান নির্বাহী ব্রিটান্ট খানাল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ধর্ষণের অভিযোগে লামিছানের উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল কাঠমান্ডু পুলিশ । একই সাথে দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাঁর উপর।
লামিছানের উপর ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে ৮ সেপ্টেম্বরে। তখন তিনি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন। যদিও অভিযোগের পর নেপালে চলে আসতে বাধ্য হন তিনি। অবশ্য বারবারই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি। তবে সেসব ধোপে টেকেনি আর। ৬ অক্টোবর লামিছানেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
কানাডার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে তখন বলা হয়েছিল, লামিছানের উপর তাদের বহিস্কারাদেশ তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে ৪ মাস না ঘুরতেই এবার তারা সেই নিষেধাজ্ঞা তুলেন নিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে আবারো ক্রিকেট মাঠে ফেরা হচ্ছে এ লেগ স্পিনারের।
২২ বছর বয়সী সন্দ্বীপ লামিছানে নেপালের সবচেয়ে তারকা ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হন। একমাত্র নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে তিনিই সারা বিশ্বের ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলে বেড়াতেন। আইপিএল থেকে শুরু করে, বিপিএল, পিএসএল, সিপিএল- পরিচিত সব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেই তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন।
ডান হাতি এ লেগ স্পিনারের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক রয়েছে। ২০২২ সালের আগস্টে তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি নেপালের অধিনায়ক ছিলেন। তবে এবার আর বাইশ গজে দলের অধিনায়ক হয়ে ফেরা হচ্ছে না।