দিনটা ভুলে যেতেই চাইবেন বাস ডি লিড!

একটা স্বস্তি খুঁজে নিতেই পারেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা। বিশ্বকাপের আগে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ে মিক লুইসের রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। তবে খরুচে বোলিংয়ের বিব্রতকর রেকর্ডটা খুব বেশিদিন সঙ্গী হলো না জাম্পার। আজ এ দুজনকে ছাড়িয়ে গেলেন নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিড। 

১০ ওভারে ১১৫ রান দিয়েছেন ডাচ এ পেসার। অবশ্য খরুচে বোলিং করলেও নিজের ঝুলিতে যোগ করেছেন ২ উইকেট। প্রথম ৫ ওভারে ৪৪ রান দেওয়া ডি লিড পরের ৫ ওভারে দেন ৭১ রান।

ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে শতাধিক রান খরচের লজ্জার নজির গড়লেন ডি লিড। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রশিদ খান ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়েছিলেন।

বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে শতাধিক রান খরচ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন স্নেডেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ১২ ওভারে ১০৫ রান দিয়েছিলেন তিনি৷

এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দৌলত জদরান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার এক ম্যাচে শতাধিক রান হজম করেছিলেন। বিব্রতকর এই বোলিং ফিগারে সর্বশেষ যুক্ত হলেন বাস ডি লিড।

অবশ্য ডি লিডকে এই দুঃস্বপ্ন উপহার একাই দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার দিনে অজি এ ব্যাটারের ব্যাটিং তাণ্ডবের ভূক্তভোগী হয়েছেন বাস ডি লিড। ডাচ এ পেসারের এক ওভারেই ম্যাক্সওয়েল নেন ২৭ রান। তাঁর শেষ ৯ বলের ৫ টিতেই বাউন্ডারি ছাড়া করেন ম্যাক্সি।

এতেই ৩১ বলে ৬১ রানে থাকা ম্যাক্সওয়েল ৪০ বলে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। একই সাথে সবচেয়ে খরুচে বোলিং ফিগারের বিব্রতকর রেকর্ডে নাম লেখান বাস ডি লিড। ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডবে এ দিন অস্ট্রেলিয়াও পেয়েছিল বড় সংগ্রহ৷ শুরুতে মিশেল মার্শের উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কাই খেয়েছিল অজিরা।

তবে দ্রুত উইকেট হারানোর সে ধাক্কা সামলে ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যাঙ্গারু বাহিনী। স্মিথ সেঞ্চুরি না পেলেও শতক তুলে নিতে ভুল করেননি ডেভিড ওয়ার্নার।

এরপর অজির ইনিংসকে ডাচদের জন্য অসম এক পর্যায়ে নিয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৯৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় অজিরা।

৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য মন্দ করেনি নেদারল্যান্ডস। প্রথম ৩ ওভারেই তাঁরা তুলে ফেলে ২৭ রান। তবে মিশেল স্টার্ক দিয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছিল, তা শেষ করেন অ্যাডাম জাম্পা।

৮৪ থেকে ৯০ রানের ৬ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। আর ডাচদের এমন ব্যাটিং ধ্বসে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন জাম্পা। যদিও শেস পর্যন্ত তা হয়নি। কিন্তু মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন এ লেগি৷

আর তাতে ৯০ রানে ডাচরা অলআউট হওয়ায় ৩০৯ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। যা এখন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের নতুন রেকর্ড।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link