টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আক্ষরিক অর্থেই অবিশ্বাস্য। নিজেদের আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে চমক জাগানো নামিবিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উড়ে গেল নেদারল্যান্ডসের কাছে। বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়াকে ৫ উইকেটে হারায় কমলা জার্সিধারীরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ নেদারল্যান্ডস জিতল শেষ মুহূর্তের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর।
উভয় দল গ্রুপ ‘এ’ তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়লাভ করে। রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল নামিবিয়া। আজকের ম্যাচের লড়াই ছিল নিজেদের গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করার। এমন ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর নামিবিয়ার অধিনায়ক গারহার্ড ইরাসমাস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আবার ব্যর্থ তাদের টপ অর্ডার। পাওয়ার প্লে-তে ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানো নামিবিয়ার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ম্যাচে। আগের ম্যাচের নায়ক জ্যান ফ্রাইলিংকের ৪৮ বলে ৪৩ ও অধিনায়ক ইরাসমাসের ১৮ বলে ১৬ রানের উপর ভর করে ১২১ রানের মান বাঁচানো স্কোর গড়ে আফ্রিকার দেশটি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বাস ডি লিড ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং দলীয় ৫৯ রামে ৩৯ করে বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার ম্যাক্স ওডোড ও বাস ডি লিড নেদারল্যান্ডসকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে ইনিংসের ১৬ আর ১৭ তম ওভারে তিন উইকেট হারালে ম্যাচ জমে ওঠে।
একটা সময়ে সাত ওভারে নয় উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডসের জিততে দরকার ছিল ৩২ রান। সেখান থেকে নামিবিয়া ম্যাচে ফিরে আসে। চার ওভারে চার উইকেট তুলে নেয়। নেদারল্যান্ডস করতে পারবে মাত্র ১২ রান।
ফলে শেষ তিন ওভারে পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে ২০ রান দরকার ছিল ডাচদের। শেষ পর্যন্ত বাস ডি লিড উইকেটে থেকে নেদারল্যান্ডসকে জয়ের বন্দরে পৌছিয়ে দেন। ডি লিড ৩০ বলে সমান ৩০ রান করেন। টিম প্রিঙ্গল অপরাজিত ছিলেন আট রান করে।
নামিবিয়ার হয়ে স্মিট ২ উইকেট নেন। দলের জয়ে দারুন ভূমিকা রাখার ম্যাচ সেরা হন ডাচ অলরাউন্ডার বাস ডি লিড। এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানে উঠে এল নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় পর্বে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলল।