অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব গ্যারি সোবার্স

বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় গোলাপী বলের টেস্টে মিশেল মার্শ খেলবেন কিনা টা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। এর ফলে সবার চোখ এখন ৩১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বাউ ওয়েবস্টারের দিকে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। ৬ফুট ৫ইঞ্চি লম্বা এই অস্ট্রেলিয়ান মিশেল মার্শের শূন্যতা পূরণ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় গোলাপী বলের টেস্টে মিশেল মার্শ খেলবেন কিনা তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। এর ফলে সবার চোখ এখন ৩১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বাউ ওয়েবস্টারের দিকে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এই অস্ট্রেলিয়ান মিশেল মার্শের শূন্যতা পূরণ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

গেলবারের শেফিল্ড শিল্ড মৌসুমি এই তাসমানিয়ান অলরাউন্ডার ৯৩৮ রান এবং ৩০ টি উইকেট নিয়েছেন। তার এই অসাধারণ পারফরমেন্সের কারণে তার সতীর্থরা তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্সের এর সাথে তুলনা করেছিলেন। স্যার গারি সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই টুর্নামেন্টে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ৯৭৩ রান এবং ৪৭ টি উইকেট শিকার করেছিলেন।

ওয়েবস্টার বলেন, ‘এটি খানিকটা বিব্রতকর আমার জন্য যখন এত বড় একজন কিংবদন্তির সাথে আমাকে তুলনা করা হয়। মাঝে মধ্যে তারা আমাকে শুধু ‘গারফিল্ড’’ লিখে টেক্সট করে। তবে এটি আমার জন্য সম্মানের বলে আমি মনে করি। আমার মনে হচ্ছে গত ২-৩ বছরে আমি আমার সেরা টা প্রদর্শন করতে পারছি। গত বছর শিল্ড এর ফাইনাল খেলা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আমার মূল লক্ষ্য এমন একটি টুর্নামেন্ট জেতা।’

৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের জন্ম হয় তাসমেনিয়ার একটি ছোট্ট শহর স্নাগে। সে প্রথমত একজন অফ স্পিনার হিসেবে শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি একজন ফাস্ট বোলার অলরাউন্ডারে পরিণত হয়েছেন। তিনি শিল্ডে ২০ বছর বয়সে অভিষেক করেন। পেসার অলরাউন্ডারে পরিণত হওয়ার আগে তিনি ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামতেন। ২০২০-২১ মৌসুমে তিনি প্রথম পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে খেলা শুরু করেন।

২০২০ থেকে তার এভারেজ রান ৫০। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৭টি। তার ঝুলিতে রয়েছে ২৬০২ রান। শিল্ডের ইতিহাসে তিনি রানের দিক থেকে চতুর্থ সাথে রয়েছেন। তার থেকে এগিয়ে আছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব (২৭১৫), স্যাম হুইটম্যান (২৮১১) এবং ক্যামেরুন ব্যানক্রফট (৩০৪১)। ওয়েবস্টার মোট ১০৪টি উইকেট শিকার করেছেন শিল্ডে। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি শিল্ড ইতিহাসের শীর্ষ ১৫ রান করা এবং শীর্ষ ১৫ উইকেট শিকার করা খেলোয়াড়ের তালিকায় রয়েছেন।

ওয়েবস্টারের মতে ২০২৩/২৪ মৌসম তার ক্যারিয়ারের সব থেকে সেরা। তিনি গত ৩/৪ বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরমেন্স করতে পেরে বেশ সন্তুষ্ট। তিনি আশাবাদী যে ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

এই তাসমেনিয়ান অলরাউন্ডার যদি মূল একাদশে জায়গা পায় তবে তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৮তম টেস্ট ক্রিকেটার। ইন্ডিয়ার বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে তিনি ১৪৫ রান করেন, ৭২.৫০ গড়ে। উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি পিছিয়ে নেই। তিনি মোট সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন যার গড় ১৯.৫৭।

ওয়েবস্টারের এমন দুর্দান্ত পরিসংখ্যান এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাকে অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট দলে জায়গা দিতে পারে। মিচেল মার্শ যদি চূড়ান্তভাবে না খেলেন, তবে ওয়েবস্টারের অন্তর্ভুক্তি নি:সন্দেহে দলের জন্য একটি শক্তিশালী বিকল্প হবে। তার সাম্প্রতিক ফর্ম, ব্যাট এবং বল হাতে ধারাবাহিকতা অস্ট্রেলিয়ার জন্য হয়ে উঠতে পারে এক বড় অস্ত্র।

Share via
Copy link