টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির মিশেলে নতুন ফরম্যাট ‘টেস্ট টোয়েন্টি’

সময়ের সঙ্গে সবকিছুই বদলায়, জন্ম নেয় নতুন কিছু। ক্রিকেটও তার বাইরে নয়। আর সেই বিবর্তনের ধারাতেই আসছে নতুন বিপ্লব, নতুন উত্তেজনা। চতুর্থ ফরম্যাট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘টেস্ট টুয়েন্টি’—যেখানে টেস্টের ক্লাস আর টি–টোয়েন্টির স্পিড মিলবে এক স্রোতে, এক সুরে!

সময়ের সঙ্গে সবকিছুই বদলায়, জন্ম নেয় নতুন কিছু। ক্রিকেটও তার বাইরে নয়। আর সেই বিবর্তনের ধারাতেই আসছে নতুন বিপ্লব, নতুন উত্তেজনা। চতুর্থ ফরম্যাট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘টেস্ট টোয়েন্টি’—যেখানে টেস্টের ক্লাস আর টি-টোয়েন্টির স্পিড মিলবে এক স্রোতে, এক সুরে!

যুগের পর যুগে বদলে গেছে ব্যাট-বলের ভাষা, পাল্টেছে খেলার রূপ। টেস্টের ধৈর্য, ওয়ানডের মাপা কৌশল, টি-টোয়েন্টির ঝড়ো গতি—সব মিলিয়ে ক্রিকেট এখন এক রঙিন মঞ্চ। তবে কখনো কখনো সবকিছুই ফ্যাকাশে লাগে, একঘেয়েমি চলে আসে। আর পরিবর্তনটাও ঠিক তখনই ঘটে।

সেই পরিবর্তনের ভেলায় চেপে এসেছে ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাট। যার মাস্টারমাইন্ড কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁর সঙ্গে আরও আছেন হরভজন সিং, ম্যাথিউ হেইডেন আর ক্লাইভ লয়েডের মতো ক্রিকেটের দাপুটে সব নাম। তাঁদের হাতেই আনুষ্ঠানিক উন্মোচনও হয়েছে এই অভিনব ফরম্যাটের।

টেস্টের ধৈর্য আর টি–টোয়েন্টির গতি—এই দুই মেরুর মিলনে জন্ম নিয়েছে এই নতুন ধারার ক্রিকেট। উদ্দেশ্য একটাই—১৩ থেকে ১৯ বছরের তরুণ প্রতিভাদের জন্য এমন এক মঞ্চ তৈরি করা, যেখানে তারা খেলবে কৌশল, ধৈর্য আর আগ্রাসনের মিশেলে। আগামী বছর শুরুর দিকেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে এই ফরম্যাট, যা বদলে দিতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটচর্চার ধরণ।

প্রতিটি দল দু’বার করে ব্যাট ও বল করবে। পুরো ম্যাচে হবে ৮০ ওভার, অর্থাৎ একদিনেই শেষ হবে খেলা। খেলা হবে লাল বল দিয়ে, টেস্টের মতোই থাকবে সব নিয়ম—লিড, ট্রেইল, ফলো-অন সব অপরিবর্তিত। তবে পার্থক্য একটাই, প্রতিটি ইনিংস হবে মাত্র ২০ ওভারের। ফলে টেস্টের গভীরতা আর টি–টোয়েন্টির গতি মিলবে একসঙ্গে, তৈরি হবে সম্পূর্ণ নতুন এক ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা।

প্রতিটি দল পুরো ম্যাচে একবার নিতে পারবে চার ওভার দীর্ঘ পাওয়ারপ্লে। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের লিড পেলে দল চাইলে প্রতিপক্ষকে ফলো-অন করাতে পারবে। এক ম্যাচে সর্বাধিক পাঁচজন বোলার ব্যবহার করা যাবে, এবং প্রত্যেক বোলার সর্বাধিক আট ওভার করে বল করতে পারবেন।

ফরম্যাটটির স্থপতি গৌরব বহিরভানি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে তরুণদের জন্য একীভূত কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই। টেস্ট টুয়েন্টি সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। ১৩ থেকে ১৯ বছরের ক্রিকেটাররা খেলবে একসঙ্গে, বহুজাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কাঠামোয়—একদম আইপিএলের মতো! কিন্তু এখানে তারা গড়বে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ।’

আগামী জানুয়ারিতেই মাঠে নামছে ‘টেস্ট টুয়েন্টি’। ক্রিকেটে শুরু হতে যাচ্ছে এক নতুন যাত্রা—যেখানে টেস্টের ঐতিহ্য বইবে টি-টোয়েন্টির গতিতে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link