শন টেইটের দর্শনে পেসারদের নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে শুরু হলো শন টেইটের অধ্যায়। অস্ট্রেলিয়ান এই গতি দানবের হাত ধরে পেস বিপ্লবের দাপট আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা বাড়ছে। টেইটের আগমন আদতে কতটুকু লাভ হলো বাংলাদেশের জন্য— সেটা খতিয়ে দেখা যাক।

বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে শুরু হলো শন টেইটের অধ্যায়। অস্ট্রেলিয়ান এই গতি দানবের হাত ধরে পেস বিপ্লবের দাপট আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা বাড়ছে। টেইটের আগমন আদতে কতটুকু লাভ হলো বাংলাদেশের জন্য— সেটা খতিয়ে দেখা যাক।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা ক্যারিয়ার জুড়ে আলোচিত ছিলেন গতি এবং আগ্রাসনের জন্য। আধুনিক ক্রিকেটে সম্ভাবনা অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও, আক্ষেপ হয়তো খুব একটা নেই। ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিয়ে হয়েছেন পুরোদস্তুর কোচ।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের কোচ হয়েছেন। ঘরোয়া লিগগুলোতেও সমানে রয়েছে তাঁর বিচরণ। অবশেষে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হয়ে আসছেন আড়াই বছর মেয়াদের চুক্তিতে।

এর আগেও বাংলাদেশে শন টেইটের আগমন ঘটেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে। চিটাগং কিংসের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে করেছিলেন বাজিমাত। দল ফাইনাল খেলেছে, তবে এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল পেসাররা। খালেদ-শরিফুলরা আসরজুড়ে আলো ছড়িয়েছে। চিটাগং কিংসের পেসাররা এই আসরে নিয়েছিল ৫৪ উইকেট, যা তাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ।

এবার সেই শন টেইট হাল ধরবেন জাতীয় দলের পেস আক্রমণের। বাংলাদেশ বরাবরই পেস ইউনিটে বিশ্বমানের কোচ নিয়ে আসে। ওটিস গিবসন, অ্যালান ডোনাল্ডদের মতো কোচেরা বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণকে পথ দেখিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় শন টেইট কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবেন?

টেইট আধুনিক সময়ের ক্রিকেটার হওয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধাটা তিনি বর্তমান সময়ের ক্রিকেটটা খুব ভালো করে বোঝেন। যদি বাংলাদেশের ক্রিকেটের দিকে তাকাই, বর্তমান সময়ে পেসাররা ভালো করলেও ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে বোলিং করার ক্ষমতাটা সিদ্ধহস্ত করতে পারেনি।

শুরুর দিকে আগ্রাসন, মিডল ওভারে ভ্যারিয়েশন কিংবা শেষদিকে ইয়োর্কার-স্লোয়ারে ব্যাটারদের ভড়কে দেওয়ার মতো সক্ষমতা এখনো কমই রয়েছে দেশের বোলারদের। এই জায়গাটায় টেইটের টোটকা কাজে লাগাতে চাইবে বাংলাদেশ।

টেইটের আরেকটি বিশেষ দিক— তিনি আক্রমণাত্মক মানসিকতা ধারণ করেন। তাঁর কোচিং দর্শনে বোলাররা গতি ধরে রেখে লাইন-লেন্থে কাজ করতে পারেন, যা বাংলাদেশি বোলারদের জন্য বেশি প্রয়োজন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, শন টেইট দেশের কোচিং প্যানেলে নি:সন্দেহে বড় সংযোজন। লম্বা সময় দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় বোলাররা এই কিংবদন্তির কাছ থেকে শিখতে পারবে অনেক কিছু। মাঠের খেলায় টেইটের টোটকা কাজে লাগাতে পারলে আখেরে লাভটা বাংলাদেশেরই হবে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link