ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর টি-টোয়েন্টির এই যুগে কেউ টেস্ট ফরম্যাটে ৭০০ উইকেট শিকার করবে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্যই বলা চলে। আর এই অবিশ্বাস্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন জেমস অ্যান্ডারসন। স্রেফ দশ উইকেট পেলে মর্যাদার এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি; আর সেজন্য নিজের বোলিং অ্যাকশনে বদল এনেছেন এই ইংলিশ।
ইংল্যান্ড টেস্ট দলের পরবর্তী মিশন ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ; এই সিরিজ দিয়েই ৭০০ উইকেট ক্লাবে প্রবেশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। তাই তো নিজেকে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন।
এই ডানহাতি বলেন, ‘আমার রান আপের গতি ঠিক ছিল না। আমি বছরের পর বছর ধরে বলের গতির জন্য কেবল পেশির উপর নির্ভর করতে পারি না, তাই আমি বাড়তি গতি পাওয়ার জন্য আমার রান আপ নিয়ে কাজ করছি। এখন ডেলিভারিগুলো বেশ ভালো হচ্ছে।’
গত অ্যাশেজের পর থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি এই কিংবদন্তি পেসারের। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রড বিহীন ইংলিশ বোলিং লাইনআপের অলিখিত নেতা তাঁকেই মানা হয়। সেজন্যই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসেও সাফল্যর নেশায় নিজেকে বদলাতে দ্বিধা করেননি তিনি। যদিও এই বয়সে এমন পরিবর্তন ইনজুরির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন সাবেক তারকা ড্যারেন গফ।
তিনি বলেন, ‘এটা ক্রিকেটের প্রতি জিমির ভালবাসার বহি:প্রকাশ। কিন্তু এতদিন আপনি এক ভাবে খেললেন, এরপর হঠাৎ সেটা বদলে আরেকভাবে খেলতে শুরু করলেন তখন আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আরো বেশি হ্যামস্ট্রিং বা কুঁচকিতে চোট পেতে পারেন। একবার যদি কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে আরো কয়েক ধরনের ইনজুরি আপনার পিছু নিবে।’
এই পেসার আরো বলেন, ‘সে দারুণ অ্যাথলেট, তবে রানআপে বদল কেমন যেন। এটা হয়তো দারুণ সাফল্য এনে দিতে পারে, তবে ইনজুরির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আশা করি তেমনটা হবে না কেননা আমি বিশ্বাস করি এই বয়সেও তাঁর পারফরম করার সামর্থ্য রয়েছে।’