এমনিতে প্রতিভার অভাব নেই পাকিস্তানে। আবার প্রতিভাদের অকালে ঝড়ে যাবার উদাহরণেরও অভাব নেই। হালের উমর আকমল বা সামি আসলামরাই অমিত সম্ভাবনা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে এলেও তাদের প্রতিভার পুরোটা পায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট। তাই এবার প্রতিভাদের বেশ যত্নসহকারে দেখভাল করে রাখতে চায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদও তরুণ প্রতিভাদের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। এরমধ্যে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সম্পদ হতে পারেন এমন তিন ক্রিকেটারকেও পছন্দ করেছেন হারুন। সদ্যই ঘোষিত হওয়া শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে ডাকা হয়েছে আনকোড়া দুই তরুণ মোহাম্মদ হুরায়রা ও আমির জামাল।
ঘরোয়া ক্রিকেট ও পাকিস্তান শাহিনন্সের হয়ে দীর্ঘ দুইবছর নিয়মিত পারফর্ম করার পরই জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে এই দুই তরুণকে। আরেক ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার ওমাইর ইউসুফও দারুণ পারফর্ম করলেও আপাতত তাকে দলে ডাকা হয়নি। তবে শিঘ্রই যে তিনি দলে ডাক পাচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত।
প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ বলেন, ‘যদি আপনি আপনার ঘরোয়া ক্রিকেটকে সম্মান না করেন তাহলে এটার আর কোনো ব্যবহার নেই। তাই আমরা যত সম্ভব জুনিয়র সফরের আয়োজন করি যাতে করে ঘরোয়া ক্রিকেটের বাইরেও বিদেশের কন্ডিশনে তারা কেমন করে সেটি আমরা দেখতে পারি।এভাবেই আমরা দেখে আসছি যে মোহাম্মদ হুরায়রা,আমির জামাল ও ওমাইররা গত দুইতিন বছর ধরে অসাধারণ পারফর্ম করে আসছে।’
হারুন আরো বলেন, ‘হুরায়রা দুই-তিন বছর ধরে পারফর্ম করছে। ওমাইর গত এক বছরেই দারুণ করেছে যেটা খুব ভালো একটা সংকেত। আমরা আশা করছি এই দুই ব্যাটার ও যারাই পাকিস্তান দলে এখন সুযোগ পাবে না তারা সবাই পাকিস্তান শাহিন্সর হয়ে দারুণ পারফর্ম করবে।’
পাকিস্তানের পাইপলাইন নিয়ে দারুণ আশাবাদী হারুন। তিনি বিশ্বাস করেন সবাই যদি পূর্ণ ফিট থাকেন তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দারুণ একটা দল হয়ে উঠতে পারবে পাকিস্তান।
হারুন বলেন, ‘আমার মতে, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আমরা এই দারণ কিছু ক্রিকেটার পেয়েছি। তাদের গড় বয়সটা ২৭-২৮ বছর। তাই এই দলটা যদি আগামী চার থেকে ছয় বছর ফিট থাকে এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যায় তাহলে সেটা দারুণ শক্তিশালী একটা দল হয়ে উঠবে। পাকিস্তান দলের দারুণ ভবিষ্যৎ দেখছি আমি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা যে ধরণের কাজ করছি, তাতে আমি নিশ্চিত যে আমাদের জন্য দারুণ কিছু সামনে অপেক্ষা করছে।’