ইনজুরি আর নেইমার জুনিয়রকে সমার্থক শব্দ বললে ভুল হবে না একটুও। অন্তত ফুটবলপ্রেমীরা তো জানেনই, নেইমার মানেই চোট আর আঘাতের এক গাদা দুঃখ গাঁথা। সবশেষ গত বছর এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি, এরপর থেকেই তাঁকে মাঠে দেখার অপেক্ষায় দিন গুণেছে সবাই।
সে অপেক্ষা এবার ফুরিয়েছে, মাঠে ফিরেছেন তিনি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট ওয়েস্ট এর তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আল হিলাল মুখোমুখি হয়েছে আল আইনের। স্বাভাবিকভাবেই শুরুর একাদশে জায়গা পাননি ব্রাজিলিয়ান তারকা, তবে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। চিরচেনা ফুটবলার রূপে আবির্ভূত হন তিনি।
অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে মিনিট পঁচিশ খেলেছেন এই উইঙ্গার; জড়তা ছিল অবশ্য, একটু রয়েসয়েই খেলেছেন তাই। তবে মাঝে মাঝে ঝলক ঠিকই দেখিয়েছেন, আহামরি পারফরম্যান্স না করতে পারলেও নিজের প্রত্যাবর্তনের বার্তা ঠিকই দিয়েছেন। সেটাই যথেষ্ট হয়েছে গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের জন্য; নেইমার, নেইমার ধ্বনিতে পুরো স্টেডিয়াম মাতিয়ে তুলেছিল তাঁরা।
গত মৌসুমের শুরুতেই আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন নেইমার, কিন্তু পাঁচ ম্যাচ খেলেই তাঁকে যেতে হয় ছুরি কাঁচির নিচে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে খেলার সময় এসিএলের চোটে পড়েন তিনি – এরপর থেকে প্রতিটা দিন নিজের সাথে নিজে লড়াই করেছেন, অবশেষে সব অদৃশ্য প্রতিপক্ষকে হারিয়ে মাঠে দেখা গেল তাঁকে।
পোস্টার বয়ের ফেরার ম্যাচে রোমাঞ্চকর একটা জয় তুলে নিয়েছে আল হিলাল। আল আইনের সঙ্গে একশ মিনিটের বেশি সময় অতিমানবীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে জিতেছে তাঁরা। আর এই জয়ের সুবাদে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সবার উপরে এখন অবস্থান তাঁদের।
তবে শিরোপার লড়াইয়ে অনেক পথ বাকি, ঘরোয়া লিগ কিংবা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে কঠিন সব বাঁধা পাড়ি দিতে হবে হিলালকে। আর এই পুরোটা সময় নেইমার জুনিয়রকে তাঁরা পাশে পাবে সেটাই এখন প্রত্যাশা। ‘নাম্বার টেন’ জার্সি গায়ে নেইমারের ছুটে চলা দেখার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব।