মামলা করেছিলেন নিজের লাভের আশায়। উল্টো তাঁকেই কি না বিশাল অংকের জরিমানা গুনতে হল। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে ৬৭ লাখ ইউরো (৬.৭ মিলিয়ন) ফেরত দিতে হবে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে। শুক্রবার একটি আদালত নেইমারকে তার মামলা খারিজ করে উল্টো এই আদেশ দিয়েছেন।
২০১৭ সালে বিশ্বরেকর্ড গড়া ট্রান্সফার ফি-তে বার্সা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) পাড়ি জমান নেইমার। পরে নিজের বোনাস সহ আরো কিছু পাওনা বাবদ ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো দাবী করে সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন নেইমার।
ইতোমধ্যে বার্সেলোনও চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করে মামলা করে নেইমারের বিরুদ্ধে। এদিকে নেইমারের মামলায় বিচারক তার আবেদন নাকচ করে দিয়ে উল্টো বার্সার পক্ষে এই রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের জন্য ৫দিন সময় পাচ্ছেন নেইমার।
২০১৩ সালে বার্সায় যোগ দেয়া নেইমার ২০১৬ সালে ক্লাবটির সঙ্গে আরো ৫ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তিতে বোনাস হিসেবে বাড়তি ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো প্রদানের কথা যুক্ত করা হয়। তন্মধ্যে সামনা সামনি ১৪ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করা হয়। বাকী ২৯ মিলিয়ন পরিশোধের কথা ছিল ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। কিন্তু ৩ আগস্ট বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার। প্যারিসের ওই ক্লাবটি নেইমারের রিলিজ ক্লজের ২২২ মিলিয়ন ইউরোও পরিশোদের উদ্যোগ নেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বার্সেলোনা নেইমারের বোনাসের টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের অভিযোগ নেইমার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছেন। সেখানেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, আগে দেয়া ১৪ মিলিয়ন ইউরোও ফেরত চেয়ে মামলা টুকে দেয় কাতালানীয় ক্লাবটি। সেই সঙ্গে ক্ষতিপুরন বাবদ আরো ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো দাবী করে বার্সা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বার্সা রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালতের রুলিংয়ে নেইমার ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধের যে দাবী জানিয়েছিল সেটিও বাতিল করা হয় এবং বার্সেলোনাকে উল্টো ৬.৭ মিলিয়ন (৬৭ লাখ) ইউরো ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়।’