কারও যেন জয়ের ইচ্ছাই নেই!

বাংলাদেশ দল এখন একদল পারফর্মার ছাড়া নাট্যদলে পরিণত হয়েছে। স্ক্রিপ্টে হার লেখা, মঞ্চে চলছে শুধু অভিনয়। নাটক শেষে দামাল ছেলেরা এবার ৩৭ রান নিয়ে শুরু করল সিরিজ।

২০২ রানের লক্ষ্য, লাহোরের ব্যাটিং উইকেটে — এইটা যতটা না পাহাড়, তার চেয়ে বেশি একটা মানসিকতার পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় জয়ের জন্য ব্যাট করলেন কেবল তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস, কিছুটা জাকের আলী। বাকি সবাই হাল ছেড়ে দিলেন।

বাংলাদেশের রান তাড়ার শুরুতে মনে হচ্ছিল — আজ কিছু হবে। লাইন প্রেজেন্টেশন ঠিক, শরীরের ভাষায় আত্মবিশ্বাস, আর স্ট্রোকপ্লেতে সৌন্দর্য। কিন্তু লিটন আউট হবার পর কে যেন বাতি নিভিয়ে দিলো ড্রেসিংরুমে। সেই যে অন্ধকার নামলো, আর কেউ আলো ধরতে চাইল না।

তখনও ম্যাচ হাতের বাইরে যায়নি। আস্কিং রান রেট আকাশ-কুসুম কিছু ছিল না। চার নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয় ২২ বল খেলে করলেন ১৭ রান। নামের জোরে জায়গা আকড়ে ধরে আছেন যেন। ‘সেট হয়ে হাত চালাবো’ এই তত্ত্ব এরকম বিগ স্কোরিং ম্যাচে সব সময় কাজে আসে না।

পাকিস্তান সবসময়ই ফিল্ডিংয়ে অগোছালো দল। আজ বাংলাদেশের ফিল্ডিং দেখে ওদের ফিল্ডিং গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার সমতূল্য মনে হচ্ছিল। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলটা যেন কেউ জোর করে খেলতে নেমেছে। বোলিংয়ে ধার নেই, ফিল্ডিংয়ে প্রাণ নেই, ব্যাটিংয়ে কৌশল নেই।

ম্যাচ যখন চায় আগ্রাসন, বাংলাদেশের ব্যাটাররা তখন মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকেন, আর রানরেট চলে যায় ষোলর দোরগোড়ায়। এই দলটার সবচেয়ে বড় সমস্যা—‘চেষ্টা’ বলে কিছু নেই। ইচ্ছা নেই, আগুন নেই, দায়িত্ব নেই। যেন হেরে যাওয়াটাই নিয়ম, আর জেতাটা দুর্ঘটনা।

বাংলাদেশ দল এখন একদল পারফর্মার ছাড়া নাট্যদলে পরিণত হয়েছে। স্ক্রিপ্টে হার লেখা, মঞ্চে চলছে শুধু অভিনয়। নাটক শেষে দামাল ছেলেরা এবার ৩৭ রান নিয়ে শুরু করল সিরিজ।

Share via
Copy link