জানো, তোমার বয়সের চেয়ে শচীনের সেঞ্চুরির সংখ্যা বেশি!

‘তুমি কি জানো যে তোমার বয়সের চেয়ে শচীনের শতকের সংখ্যা বেশি?’

স্লেজিং মানেই প্রতিপক্ষকে মানসিক চাপে রাখা। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে যেয়ে যদি উলটো চাপ আসে তবে তা ব্যতিক্রম। স্লেজিংয়ে পারদর্শী মাইকেল ক্লার্ক এবং বীরেন্দ্র শেবাগের মাঝে ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল। স্লেজিংয়ে কেউই দেয়নি কোনো ছাড়।

মাইকেল ক্লার্ক এবং বীরেন্দ্র শেবাগ উভয়ই তাঁদের ব্যাটিং দক্ষতা দিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। সেই সাথে তাঁরা স্লেজিং করাতেও ছিলেন বেশ পারদর্শী। এই বিষয়ে কেউ কাউকে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ।

সময়টা ২০০৪, ভারতের মাটিতে ৩৫ বছর পর অবিশ্বাস্য টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে ক্লার্ক রাখেন বিশেষ ভূমিকা। ঐ সময়টাতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটে-বলে ক্রিকেট খেলার চেয়ে মনস্তাত্বিক খেলায় বেশি পারদর্শী ছিল। তখন স্লেজিং আর ব্যঙ্গ করাই তাদের অন্যতম কৌশল হয়ে ওঠে।

ক্লার্ক ঐ সিরিজে শচীন টেন্ডুলকারের সাথে ঠাট্টা করার চেষ্টা করে। তিনি মাস্টার ব্লাস্টারকে মজার ছলে বলেন, ‘তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছ। যাই হোক, তোমাকে এখনই যেতে হবে।’

শচীন তখন কিছুই বলেনি। বরং অপর প্রান্তে থাকা শেবাগ ক্লার্ককে জিজ্ঞেস করে, ‘তোমার বয়স কত?’ উত্তরে ক্লার্ক বলে, ‘২৩ বছর।’ শেবাগ সামনে এগিয়ে এসে আবারো জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি জানো যে তোমার বয়সের চেয়ে তাঁর শতকের সংখ্যা বেশি? যাও, তোমার বয়সী কারো সাথে এসব চেষ্টা কর।’

ক্লার্কও হাল ছাড়তে নারাজ। শচীনকে নিয়ে বাকযুদ্ধ চালিয়ে যান তিনি। তবে এবার শেবাগ এই অজিকে থামিয়ে দিয়ে বলে, ‘তোমার দলের সদস্যরা তোমাকে কুকুরছানা ডাকে, তাই না?’

প্রতি উত্তরে ক্লার্ক বলে, ‘হ্যাঁ।’ তারপর শেবাগ আবার জিজ্ঞেস করে, ‘কোন জাতের?’ আর একথা শুনেই শচীন অট্ট হাসিতে ফেটে পড়েন। শেবাগ যখনই মাঠের ঝগড়ার ঘটনাগুলো স্মরণ করেন প্রায়ই এই স্লেজিংয়ের কথা উল্লেখ করেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...