ঘরের মাঠে বাংলাদেশ নাকি অপ্রতিরোধ্য। দূর্গ নাকি মিরপুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পরিসংখ্যান অবশ্য তাই বলে। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সবচেয়ে সফল দলগুলোর একটি। তবে সফলতার সে যাত্রায় অপূর্ণতার গল্প লেখক ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে। তাই দর্শকদের অনীহা ছাড়িয়েছে চরম মাত্রা।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড দল রয়েছে সাগরিকায়। সেখানে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামবে টাইগাররা। এমন পরিস্থিতিতে টাইগারদের সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল তাদের পাগলাটে দর্শকদের। তবে এবার যেন চট্টগ্রাম হতাশার এক ঝুড়ি নিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
তৃতীয় ওয়ানডের জন্যের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে চৈত্র্যের দুপুরের বিরানভূমি যেন টিকিট কাউন্টার গুলো। কোথাও যেন মানুষের দেখা নেই। কারও যেন বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই দলের তৃতীয় ওয়ানডে নিয়ে। দল বেকায়দায়, সে কারণেই হয়ত মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
যদিও পেছনে আরও অনেক গল্পই রয়েছে। প্রথমত বাংলাদেশের ওয়ানডে ম্যাচগুলো এবার শুরু হয়েছে দুপুর ১২টা থেকে। চট্টগ্রামেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। সেদিক থেকে বিবেচনায় করলে সপ্তাহের শুরুতেই এমন অদ্ভুত এক সময়ের খেলার আয়োজন দর্শকদের নিরুৎসাহিত করার মতই ঘটনা। তাছাড়া বিকেল গড়ানোর আগেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই তো পকেটের টাকা খরচ করে মাঠে বসে খেলা দেখতে অনীহা চট্টলা বাসিদের।
অন্যদিকে, দলের সাম্প্রতিক ফর্ম ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অব্যবস্থাপনাও বিবেচ্য বিষয়। এসবই প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে দর্শকদের বিতৃষ্ণার। তাইতো পুরো চট্টগ্রাম জুড়েই চালানো হচ্ছে মাইকিং। শহরের প্রতিটা গলিতে ঘুরে ঘুরে দর্শক ফেরানোর প্রচেষ্টা। তবে তাতেও কাজের কাজ হচ্ছে না।
এই অদ্ভুত কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও প্রায় শূন্য গ্যালারিতে খেলা মাঠে গড়িয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচটি শুক্রবারের অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হোম অব ক্রিকেটে দর্শক সমাগমটা হয়েছিল ঠিকঠাক। তবে সে ম্যাচটি ভীষণ বাজে ভাবে হেরে যায় তামিম ইকবালের দল। দর্শকের ছুটির দিনটাই সেদিন মাটি হয়ে যায়।
এত প্রভাবককে পেছনে ফেলে তাই মাঠে দর্শক সমাগম ঘটানোটা বেশ কঠিন কাজ। সেটুকু অন্তত বোধগম্য হয়ে যাওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যদিও চট্টগ্রামবাসির জন্য স্বস্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেটি অবশ্য মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা নামার ঠিক সাথে সাথেই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে কোন হিসেব-নিকেশ নেই।
বিনোদনের আশায় আর প্রিয় দলকে উজ্জীবিত করবার সুযোগটুকু নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম লুফে নেবে। সে ম্যাচের জন্য অবশ্য নেতিবাচক কোন প্রভাবক কাজ করবে না।