ইতিহাস বদলানোর লক্ষ্য নিয়ে ভারতে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছিল অজিরা। কিন্তু ইতিহাস বদলাতো তো দূরে থাক, পুরনো ইতিহাসই সঙ্গী হয়েছে তাদের পাশে। ৪ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ন্যূনতম প্রতিরোধই গড়তে পারেনি অজিরা। নাগপুর ও দিল্লী, দুই টেস্টই শেষ হয়েছে মাত্র তিন দিনে।
ভারতের কাছে প্রথম দুই টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণের পর পিচ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল খোদ অস্ট্রেলিয়ানরাই। অবশেষে এ দুই ম্যাচের পিচ রিপোর্ট জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অস্ট্রেলিয়ার দুই গণমাধ্যম দ্য এজ আর সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বলছে, পিচ রেটিং হিসেবে আইসিসি নাগপুর ও দিল্লীতে হওয়া এ দুই টেস্টের পিচকে ‘গড়পরতা’ স্বীকৃতি দিয়েছে।
এর অর্থ হলো, শেষবার ২০১৭ সালে যখন অস্ট্রেলিয়া ভারত সফরে আসে তখনকার চেয়েও এখন ভাল পিচে খেলা হয়েছে। মানে, এই উইকেটের কোনো সমস্যা নেই। সে বার পুনে, ব্যাঙ্গালুরুতে হওয়া টেস্টের পিচকে যথাক্রমে বাজে, বিলো এভারেজ স্বীকৃতি দিয়েছিল আইসিসি। আইসিসি’র তখন ম্যাচ রেফারি ছিলেন ক্রিস ব্রড।
আর এবারের সিরিজে ম্যাচ রেফারি হিসেবে আছেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডই পাইক্রফট। তো পিচ রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একদম উত্তম পিচ না হলেও পিচটি বাজে ছিল না।
পাইক্রফটের রিপোর্টে অবশ্য অধিকাংশ কিছুর সত্যতা মিলেছে। কারণ নাগপুর টেস্টে যেখানে অস্ট্রেলিয়া দুই ইনিংসে ২০০ রান করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেখানে ভারত এক ইনিংসেই করেছিল চার শতাধিক রান। একই ভাবে দিল্লী টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই দল সমানে সমান লড়াই করলে দ্বিতীয় ইনিংস এসে পাশার দান বদলে যায়। মাত্র ৯১ রানেই অলআউট হয়ে যায় অজিরা। পরবর্তীতে দেখা যায়, সে ইনিংসে অজি ব্যাটারদের কৌশলগত ভুল ছিল। নিজেদের সুইপ শটের কৌশলে নিজেরাই পা হড়কে পড়ে। তাই প্রথম টেস্টের মতো এ টেস্টেও ভরাডুবি হয় অজিদের।
৪ ম্যাচের বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে এখন ফিরতে হলে পরের টেস্ট জিততেই হবে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে এরই মধ্যে তারা পিছিয়ে ২-০ ব্যবধানে। আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টেস্টে তাই জয়ের বিকল্প দেখছে না অজিরা। তবে পরের দুই টেস্টের জন্য দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার আর জশ হ্যাজলউড। হ্যাজলউডের জায়গায় পরের টেস্টে দেখা যেতে পারেন অ্যাস্টন আগারকে।