রিয়াদকে অবসর নিতে বলেছে বোর্ড

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন অধিনায়ক। অথচ, পরের বছরই আয়োজিত একই ফরম্যাটের আরেক বিশ্বকাপে তিনি দলের বাইরে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কার্য্যত শেষই হয়ে গেছে। টেস্ট থেকে তিনি বিদায় নিয়ে ফেলেছেন।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন অধিনায়ক। অথচ, পরের বছরই আয়োজিত একই ফরম্যাটের আরেক বিশ্বকাপে তিনি দলের বাইরে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কার্য্যত শেষই হয়ে গেছে। টেস্ট থেকে তিনি বিদায় নিয়ে ফেলেছেন।

বাদ থাকল কেবল ওয়ানডে। আর এই ফরম্যাট থেকেও তাঁর বিদায় আসন্ন। অন্তত, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তেমনই ভাবছে। স্বয়ং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সিনিয়র এই ক্রিকেটারের কাছে তাঁর অবসর বিষয়ক ভাবনা জানতে চেয়েছেন।

বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে মাহমুদ উল্লাহকে ফোন করে বলেছিলাম, তোমার যদি অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা থাকে দয়া করে আমাদের জানাও। কারণ আমরা এমন একটা সুযোগ সৃষ্টি করব, যাতে তুমি একটা সিরিজ খেলার মাধ্যমে অবসর নিতে পারো। সে বলেছিল, আমাকে জানাবে। কিন্তু আমি জানি সে আমাকে জানাবে না। এখন পর্যন্ত শুধু তামিমই (ইকবাল) আমাকে জানিয়েছিল।’

রিয়াদ এখন সাদা বলের ক্রিকেটেও নিজের নামের প্রতি একদমই সুবিচার করতে পারছেন না। আসলে পারবেনই বা কি করে, বয়সটা যে ৩৭। তাঁর ব্যাটিং রিফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গেছে, হ্যান্ড আই কম্বিনেশন নেই বললেই চলে। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন না ঠিক মত। এমনকি এমন ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেখানে রিয়াদ ফিল্ডিংয়ে বড় কোনো ভুল করছেন না।

বোর্ড সভাপতিও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটিং নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তবে তার ফিল্ডিং নিয়ে আমি বিভিন্নজনের কাছ থেকে নেতিবাচক কথা শুনেছি। বয়সের সঙ্গে সব কিছুই বদলে যায়, যেমন রিফ্লেক্স, আইসাইট এবং রিঅ্যাকশন টাইম। মাহমুদ উল্লাহ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন অলরাউন্ডার, কারণ কঠিন সময়ে তাকে আমরা বোলিং করাতাম।’

তবে, এখনকার বাস্তবতায় কি বিদায়ী সিরিজ আয়োজন সম্ভব? নাজমুল হাসান পাপনও এখানে বাস্তববাদী। ফলে, এখানে রিয়াদের পরিণতিটা খোদ মাশরাফি বিন মুর্তজার মতও হতে পারে।

বিসিবি প্রধান বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন, কারণ তিনটি ফরম্যাট। কিভাবে ভিন্ন তিন ফরম্যাটে বিদায়ি সিরিজ আয়োজন করা যায়? উদাহরণস্বরূপ, মাহমুদ উল্লাহ যদি মনে করে যে সে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেবে, তাহলে আমরা তার জন্য মালিঙ্গা বা টেন্ডুলকারের মতো কিছু করতে পারি। তবে খেলোয়াড়রা যদি না চায়, তাহলে এই বার্তা দেব, তাদের ব্যাপারে আমরা কিন্তু প্রস্তুত। আমি মাশরাফিকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু সে চায়নি (বিদায়ী সিরিজ)। সে কিন্তু এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েনি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...