গম্ভীর ও আফ্রিদি এখন বন্ধু!

ভারত-পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দিতার আমেজ সবসময় বাড়িয়ে দিত মাঠের ভেতরে খেলোয়াড়দের ব্যাটে বলে কিংবা উত্তপ্ত শব্দ বিনিময়ের লড়াইয়ে। ওয়াসিম আকরাম আর শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাট বলের লড়াই যেমব ছিলো প্রচন্ড চিত্তাকর্ষক ঠিক তেমনি ছিল শহীদ আফ্রিদি ও গৌতম গম্ভীরের কথার লড়াই।

২০০৭ সালে মাঠের মধ্যেই কথার লড়াইয়ে জড়ান গাম্ভীর ও আফ্রিদি। এরপর থেকেই যেখানেই দেখা হয়েছে এই দুই ক্রিকেটারের, দর্শকদের চোখ আটকে ছিলো এই দুই ক্রিকেটারের দিকেই।

২০০৭ সালে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে মাঠেই দ্বন্দে জড়ান গম্ভীর ও আফ্রিদি। এরপর মাঠে এই দুই ক্রিকেটারকে আর তেমন ভাবে দ্বন্দে জড়াতে দেখা না গেলেও অবসরের পর দুই ক্রিকেটার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন খেলা নিয়ে আলোচনার টেবিলে। একে অপরের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে একের পর এক তীর ছুড়েছেন বহুবার।

এক যুগ ধরে বন্ধ আছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। কিন্তু আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবার আগে আলোচনার টেবিলেও নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ রেখেছেন আফ্রিদি ও গম্ভীর।

দীর্ঘদিন এবার আবারো মাঠেই মুখোমুখি হলেন সাবেক এই দুই ক্রিকেটার। লিজেন্ড ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় আসরে মুখোমুখি হয়েছেন তারা। ইন্ডিয়া মহারাজার অধিনায়ক গাম্ভীর টস করতে নেমেছিলেন এশিয় লায়ন্সের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির বিপক্ষে। গাম্ভীরের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফ্রিদির এশিয়া লায়ন্স। টসের পর হাসিমুখে গাম্ভীরের সাথে হাত মেলালেও নিজের চিরাচরিত ভঙ্গিতে না হেসেই হাত মেলান গাম্ভীর।

টসের পর মাঠেও মুখোমুখি হন দুই অধিনায়ক। মুখোমুখি লড়াইয়ে আফ্রিদির বিপক্ষে ১০ টি বল খেলেন গাম্ভীর। সেই ১০ বলে একটি বাউন্ডারি সহ ১০ রান করেন সাবেক এই ভারতীয় ওপেনার। শুধু ব্যাট বলেই থেমে থাকেনি পুরোনো এই দ্বৈরথ। পাকিস্তানের আরেক সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাকের বলে গম্ভীরের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন করে এশিয়া লায়ন্স।

কিন্তু, সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তখন গাম্ভীরের কাছে গিয়ে বলটি ব্যাটে লেগেছে কিনা জানতে চান আফ্রিদি। আবারো নিজের চিরায়ত ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে গাম্ভীর জানান ব্যাটে লাগেনি বল।

যদিও পুরোনো শত্রুদের এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছে আফ্রিদির এশিয়া লায়ন্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচসেরা মিসবাহ উল হকের ৭৩ রানে ভর করে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় এশিয়া লায়ন্স। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক গম্ভীর ছাড়া আর দাঁড়াতে পারেননি কেউ। গম্ভীরের ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের পরেও ইন্ডিয়ান মহারাজাদের হারতে হয় নয় রানে। ম্যাচ হারলেও ‘গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচ’ পুরষ্কার পান গম্ভীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link