টি-টোয়েন্টির মেজাজ বুঝেছে বাংলাদেশ

লিটন দাস নিজেই খানিকক্ষণ ইনডোরের নেটে সুইপ শট খেলার চেষ্টা করলেন। কয়েকটা জায়গামত খেলতে পারলেন, কয়েকটা আবার পারলেন না। এরপর হাতুরু নিজে হাতে কলমে শিখিয়ে দিলেন সুইপ শট খেলার কৌশল। ব্যাটের গ্রিপ কীভাবে ধরতে হবে, শরীরের পজিশন কোথায় হবে সবই দেখিয়ে দিলেন লিটনকে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো বড় ইনিংস খেলতে পারেননি লিটন দাস। সেটা নিশ্চয়ই ভাবাচ্ছে হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেকে। সেজন্যই মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে লিটনকে নিয়ে কোচের বাড়তি মনোযোগ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস বড় করতে হলে মিডল ওভারে সামলাতে হবে আদিল রশিদদের স্পিন। আর সেজন্যই সুইপ, রিভার্স সুইপের অনুশীলন চললো লম্বা সময়।

লিটন দাস নিজেই খানিকক্ষণ ইনডোরের নেটে সুইপ শট খেলার চেষ্টা করলেন। কয়েকটা জায়গামত খেলতে পারলেন, কয়েকটা আবার পারলেন না। এরপর হাতুরু নিজে হাতে কলমে শিখিয়ে দিলেন সুইপ শট খেলার কৌশল। ব্যাটের গ্রিপ কীভাবে ধরতে হবে, শরীরের পজিশন কোথায় হবে সবই দেখিয়ে দিলেন লিটনকে।

কোচের পরামর্শ শুনে এরপর আরো খানিকক্ষণ সুইপ শট খেলার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন লিটন দাস। বোঝা যাচ্ছিল একটা বড় ইনিংস খেলার জন্য কতটা মরিয়া এই ব্যাটার। কেননা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবমিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ৭ রান। এরপর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করতে পেরেছেন মাত্র ১২ রান। ফলে রানে ফেরাটা এবার সত্যিই ভীষণ জরুরী এই ব্যাটারের জন্য।

লিটনকে কাজ দেখিয়ে দিয়ে হাতুরু এরপর চলে গিয়েছেন মিরপুরের মূল মাঠে। সেখানে সেন্ট্রাল উইকেটে আবার চলছে পাওয়ার হিটিং অনুশীলন। যেখানে বড় বড় শট খেলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারি ও নুরুল হাসান সোহানরা।

সেন্ট্রাল উইকেটে দাঁড়িয়ে বিশাল বিশাল সব শট খেলতে দেখা গিয়েছে এই ব্যাটারদের। আর সেগুলো পিছন থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছে হাতুরুসিংহে। হাই ব্যাকলিফটে বিশাল সব ছয় মারতে দেখা যায় তৌহিদ হৃদয়কে। এই ব্যাটার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও খেলেছিলেন ১৭ বলে ২৪ রানের ইনিংস।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ সব ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলটার হয়ে এক আসরেই করেছেন চারশোর বেশি রান। যার সুবাদেই প্রথমবারের মত ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হয়েছে। এই ব্যাটারকে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং লাইন আপের মধ্যমণি করতে চায় বাংলাদেশ।

ওদিকে রনি তালুকদারও দলে এসেছেন বিপিএলের পারফর্মেন্স দিয়েই। প্রায় আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরে তাঁর শুরুটাও মন্দ হয়নি। ওপেন করতে নেমে ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। এই ফরম্যাটে রনির কাছ থেকে দলের চাওয়াও সেটাই। পাওয়ার প্লেতে তাঁর কাছ থেকে ঝড়ো শুরু চায় বাংলাদেশ।

নিজেকে সেভাবে প্রমাণ না করেও জাতীয় দলে আবার ডাক পেয়েছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। এই ব্যাটারের উপর এতটা আস্থা রাখার কারণ তাঁর ব্যাটের সুইং। এমনকি জাতীয় দলের অনুশীলনেও বিশাল সব শট খেলে নজর কেড়েছেন। আর তাঁর পাওয়ার হিটিং অ্যাবিলিটিই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।

সেজন্যই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একাদশেও ছিলেন এই ব্যাটার। যদিও সেই ম্যাচে তাঁকে আর ব্যাট করতে নামতে হয়নি। এছাড়া শামীমের ফিল্ডিংটাও একটা বড় ফ্যাক্টর। এই মুহূর্তে শামীম দেশের অন্যতম সেরা ফিল্ডার।

সবমিলিয়ে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা কিংবা অনুশীলন সবকিছুতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে টি-টোয়েন্টি মেজাজ। প্রথমবারের মত এই ফরম্যাটটাকে আলাদা করে ভাবছে বাংলাদেশ। যার কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটা জয়ও এসেছে। এবার নিশ্চয়ই সিরিজটাও বাগিয়ে নিতে চাইবে সাকিবরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...