বিশ্বকাপের মূল আসর শুরু হতে তাও মাস চারেক বাকি। তবে এরই মধ্যে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে অঘটন। না চিন্তিত হওয়ার মত কিছু হয়নি। কিন্তু চমকে যাওয়ার মত বটে। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা চলছে জিম্বাবুয়েতে।
সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিল ওমান ও আয়ারল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই শক্তিমত্তার বিচারে বেশ দূরেই অবস্থান দুই দলের। সেদিক থেকে আইরিশরাই যে এগিয়ে সেটা আর নতুন করে না বললেও চলছে। সহযোগী দেশের কাতার থেকে উঠে এসে হয়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য। সে পথে খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরমেন্সও তো প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
অন্যদিকে, ইতিহাস বা ঐতিহ্য কোন কিছুতেই সমৃদ্ধ নয় ওমান ক্রিকেট। তবে মাঠের লড়াই তো এসব দেখে না। ক্রিকেট তো এসব কিছুর উর্ধ্বে। কাগজে-কলমে কোন দলটা কতখানি শক্তিশালী সেটা স্রেফ একটা নথি। ক্রিকেট জানে নির্দিষ্ট দিনে উজার করে দেওয়া দলটাকে জয়ী করতে হয়। মাঝেমধ্যে অবশ্য ভাগ্য এসে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু ওমানের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি এবার। দলটা বেশ স্বস্তি নিয়েই জয়ের দেখা পেয়েছে। ১১ বল হাতে রেখে টপকে গেছে ২৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এমন পারফরমেন্স নিঃসন্দেহে খানিকটা চমক জাগানিয়া।
যদিও এমন চমক আগেও করে দেখিয়েছিল ওমান। তবে সেটা ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার আয়ারল্যান্ড ১৫৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল। সেই টার্গেটও দুই বল বাকি থাকতেই উৎরে গিয়েছিল ওমান জাতীয় ক্রিকেট দল।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অঘটনের সুযোগটা বেশিই থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই খেলার মোমেন্টাম পাল্টে যেতে পারে। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বেশ প্রভাব ফেলে। কিন্তু ঐ যে নির্দিষ্ট দিনে ক্রিকেট বিধাতার ছায়াতলে থাকা দলটাই শেষ অবধি পায় জয়ের দেখা।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের নিমন্ত্রণ জানায় ওমান। হ্যারি টেক্টর ও জর্জ ডকরেলের হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ২৮১ রানের পুঁজি পায় আইরিশরা। ডকরলেন ৯১ রানে অপরাজিত থেকে খানিকটা আক্ষেপের আগুনে নিশ্চয়ই পুড়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জতিন্দর সিংয়ের উইকেট হারায় ওমান। কিন্তু এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেশ্বপ প্রজাপতি ও আকিব ইলিয়াস। দুইজনে মিলে জুটি বাঁধেন ৯৬ রানের। জয় তখনও বেশ দূরের হিসেব। ১০৩ রানে আকিব ইলিয়াস আউট হলে, বাকি কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন জিসান মাকসুদ ও মোহাম্মদ নাদিমরা।
ওমানের শুরুর দিকের একমাত্র জতিন্দর সিং ছাড়া চার ব্যাটারই পেয়েছেন অর্ধ-শতকের দেখা। ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে নিশ্চিত করেছেন নাদিম। তাতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই স্বস্তির জয় পায় ওমান।
এই জয়ে গ্রুপ-বি এর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ওমান। রান রেটের বিচারে শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রেখেছে শ্রীলঙ্কা।