ভাগ্যিস মুস্তাফিজ ছিলেন!

রশিদ খানের লো লুক শট। ছক্কা! সবাই ভেবে নিয়েছিল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন হতে চলেছে ধূলিসাৎ। ডেথওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ফেল করলে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব। টাইগারদের বিদায় ঘন্টা তখন দূর থেকে ভেসে আসতে শুরু করেছে। কেননা রশিদও যে একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু না, শেষ হাসি হেসেছেন 'দ্য কাটার মাস্টার'। সেই রশিদ খানকেই ফিরিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের জয়ের অধ্যায়।

রশিদ খানের লো লুক শট। ছক্কা! সবাই ভেবে নিয়েছিল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন হতে চলেছে ধূলিসাৎ। ডেথওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ফেল করলে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব। টাইগারদের বিদায় ঘন্টা তখন দূর থেকে ভেসে আসতে শুরু করেছে। কেননা রশিদও যে একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু না, শেষ হাসি হেসেছেন ‘দ্য কাটার মাস্টার’। সেই রশিদ খানকেই ফিরিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের জয়ের অধ্যায়।

শেষ দুই ওভারে আফগানিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ২৭ রান। ১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রশিদ খানকে নিজের উইকেটে পরিণত করেন বা-হাতি এই পেসার। ঠিক আগের বলেই চার মেরেছিলেন রশিদ। ওখান থেকেই মূলত বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা হয়েছে প্রবল এবং বাস্তবসম্মত। এমনকি সেই ওভারে তো হ্যাট্রটিকের সুযোগও তৈরি করে ফেলেছিলেন মুস্তাফিজ।

রশিদের পর আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারকে আউট করে। তবে তারও বহু আগে তার বলে ইনসাইড এডজ হয়ে আউট হন মোহাম্মদ নবী। আবু ধাবির স্লো উইকেট, এমন উইকেটে নবীর অগাধ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্যে ছিল দুশ্চিন্তার কারণ। তিনি টিকে গেলে হয়ত রশিদ অবধি গড়াত না ঘটনা। বহু আগেই কাঁটা হয়ে যেত টাইগারদের বাড়ি ফেরার টিকিট। ভাগ্যিস মুস্তাফিজ ছিলেন বলে! এখনও সম্ভাবনা নিয়ে এশিয়া কাপে টিকে আছে লিটন দাসের দল।

এভাবেই মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের সমস্ত দৃশ্যপট বদলে দিতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগান দারুণভাবে। অনায়াসে কাটিয়ে উঠতে পারেন বাজে সময়। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে তার খরচা ১৪ রান। এ যেন একেবারে চিরায়ত মুস্তাফিজের এক ভিন্ন চিত্র। এর আগের দুই ওভারে যেখানে তিনি খরচ করেছিলেন মাত্র ৯ রান।

অন্তিম লগ্নেও তিনি নিজের স্নায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করলেন দারুণ দক্ষতায়। ঠিক এ কারণেই তার উপর আস্থা রাখা যায়। আগের ওভারেও ১৪ রান হজমের পরও তার হাতে বল তুলে দেওয়া যায় অনায়াসে, চোখ বন্ধ করে। সক্ষমতার প্রতিফলন ঘটিয়ে সেই আবহ তিনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন বহুবার। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ঘটেনি যার ব্যত্যয়।

রানের নদী শুকিয়ে দেওয়া, প্রয়োজনের মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেওয়া- এসব কিছুতে ভীষণ পটু মুস্তাফিজ। তিনি থাকেন বলেই ডেথ ওভার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করতে হয় না বাংলাদেশকে। এদিন অবশ্য ছন্দপতন ঘটলেও নিজেকে সামলে নিয়ে জয়টা ঠিকই এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। অবরুদ্ধ সকল দুয়ারের তিনিই যেন একমাত্র চাবিকাঠি।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link