পাকিস্তানের ওপেনিং সমস্যা কাটছেই না, সব উপায় অনুসরণ করা শেষ তবু মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি ব্যর্থ হওয়ার পর কানাডার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছিলেন সায়িম আইয়ুব। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি, দলকে ভাল শুরু এনে দেয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির কিংবা নাসিম শাহ – পাকিস্তানের পেস বোলিং লাইনআপে তারকার অভাব নেই। অথচ ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সেটা উল্টো; কেবল বাবর, রিজওয়ান আছেন মন্দের ভাল, বাকিরা সবাই আছেন ছায়া হয়ে। তাই তো ব্যাটিং লাইনআপের কম্বিনেশন নিয়ে কঠিন ঝামেলায় পড়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন সায়িম। একটা সময় তাঁকে ভাবা হয়েছিল পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সুপারস্টার। অথচ ফর্ম হারিয়ে তিনি এখন বনে গিয়েছেন দলের বোঝা। বারবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না, ফলে ওপেনিং সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে এই বাঁ-হাতি মাত্র ৬ রান।করে আউট হয়েছেন, আর সেজন্য তাঁকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বারো বল। অবশ্য বারো বলে তাঁর ব্যাটিং কখনোই সাবলীল ছিল না। তবে টিম ম্যানেজম্যানও নিরুপায়।
কেননা বাবর-রিজু জুটি আগের দুই ম্যাচে পরাজয়ের কারণ হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাক-অধিনায়কের ধীর গতির ইনিংসের কারণে পিছিয়ে পড়েছিল দল, পরের ম্যাচে রিজওয়ান তো টেস্ট ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন – সবমিলিয়ে তাই বেহাল দশা ম্যান ইন গ্রিনদের।
এখন দেখার বিষয়, টুর্নামেন্টের বাকি অংশে কিভাবে ওপেনিং পরিকল্পনায় সাজায় তাঁরা। হয়তো মিডল অর্ডার থেকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে ফখর জামানকে, সেক্ষেত্রে অবশ্য আবার মিডল অর্ডারের ভগ্ন দশা প্রকট হবে। তবু ঝুঁকি নিতেই হবে তাঁদেরকে; পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে না লাগালে জেতা কঠিন হয়ে যায় সেটা অন্তত বুঝে যাওয়ার কথা এতদিনে।