১৩ বছর পর ফাইনালে পাকিস্তান

টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ খেলা নিউজিল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেল বাবর আজমের পাকিস্তান। অথচ, এই পাকিস্তান দলটাই সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছিল ধুুঁকতে ধুঁকতে।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের প্রথম বলে শাহীন আফ্রিদিকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করলেও পরের বলে এলবিডব্লুউয়ের ফাঁদে পড়েন ফিন অ্যালেন। রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও ঠিক তার পরের বলে আবারও এলবিডব্লিউ তে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যালেন।

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়েকে নিয়ে দেখে শুনে খেলতে থাকলেও পাওয়ার প্লের শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়েন কনওয়ে। এরপর গ্লেন ফিলিপস ও আউট হয়ে গেলে ৪৯-৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পরে কিউইরা। দলের ত্রাণকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং অলরাউন্ডার ড্যারেল মিশেল। দুজনে মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভীত গড়ে দেন।

উইলিয়ামসন ৪৬ রান করে আউট হলেও ৩৫ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ২০ ওভার শেষে ১৫২ রানে ভীত এনে দেন মিশেল। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে ২ টি এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ ১২ রানে ১ টি উইকেট লাভ করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবে থাকা বাবর আজম ইনিংসের প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে ডেভন কনওয়েকে ক্যাচ দেন ৷ কিন্তু কনওয়ে সেই সুযোগ ফেলে দিলে যেন নিজের হারানো আত্মবিশ্বাস ও ফিরে পান বাবর। মোহাম্মদ রিজওয়ান কে সাথে নিয়ে কিউই বোলারদের আর কোন সুযোগই দেন নি এই দুই ওপেনার। প্রথম ওপেনিং জুটি হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩ টি শত রানের জুটি করেন বাবর-রিজওয়ান।

সেই সাথে  বাবর নিজের ক্যারিয়ারের ৩০ তম অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত ৫৩ এবং দলীয়  ১০৫ রানে আউট হন বাবর।পরবর্তীতে রিজওয়ান এবং মোহাম্মদ হারিস দেখেশুনে খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। জয় থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকাকালীন ব্যক্তিগত ৫৭ রানে রিজওয়ান এবং  মোহাম্মদ হারিস আউট হলেও  ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেতে কোনো কষ্টই হয়নি পাকিস্তানের।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন রিজওয়ান। এছাড়া বাবর ৫৩ এবং মোহাম্মদ হারিস করেন ৩০ রান।নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট দু’টি এবং মিচেল স্যান্টনার একটি উইকেট পান।

এই জয়ে তৃতীয় বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। এর আগে ২০০৭ সালে রানারআপ এবং ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ১৩ নভেম্বরের ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ কে হবে তা জানা যাবে আগামীকাল – ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link