যে পরিকল্পনায় সফল পাকিস্তান

চলমান এশিয়া কাপে ‘টস’ খুবই বড় নির্ধারক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখানে অনুষ্ঠিত পাঁচটা ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। কেবল ভারতের বিপক্ষে পারেনি হংকং। সেখানে দু’দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য বড় ভূমিকা রেখেছে।

তাই, দুবাইয়ে পরিকল্পনাটা পরিস্কার। টস জিতে দ্বিতীয়বার না ভেবেই বোলিং নাও। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও তাই করেছিল পাকিস্তান। তারপরও প্রতিপক্ষ ভারত বলেই কি না, জয়ের জন্য আরো অনেক রকম ছক কষতে হয়েছিল বাবর আজমের দলকে।

কারণ, ভারত আগে ব্যাট করে একবার বড় ইনিংস করে ফেলতে পারলে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরা কষ্টকর হত পাকিস্তানের জন্য। তাই, বোলিংয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল সহজ – দ্রুত ফেরত পাঠাতে হবে সুরিয়াকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়াকে, যত বেশি পারো ডট বল দাও। আর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম চারজনের অন্তত একজনকে খেলতে হবে লম্বা ইনিংস। এখানে, মোটামুটি সবগুলো ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে পাকিস্তান দল।

এমন পরিকল্পনার কথা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই বলে রেখেছিলেন পাকিস্তানের স্পিডস্টার হারিস রউফ। জানিয়েছিলেন, প্রথম ম্যাচের ভুল আর করতে চায় না পাকিস্তান। বলেছিলেন, ‘ওদের (ভারতের) প্রধান খেলোয়াড় দু’জন- হার্দিক পান্ডিয়া ও সুরিয়াকুমার যাদব। আমাদের পরিকল্পনা হলো দ্রুতই এ দু’জনের উইকেট তুলে নেয়া, যাতে করে ভারতের রান তুলতে কষ্ট করতে হয়। রান তোলার আগে ওরা খানিকটা সময় নেয়। আমাদের চেষ্টা থাকবে ওদের ওই (দ্রুত রান তোলার) সুযোগ না দেয়া। শুরুতেই ওদের ফেরাতে পারলে সেটা পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে।’

ম্যাচে হয়েছেও তাই। সুরিয়া ১০ বল খেলে ১৩ রান করেছেন। আর পান্ডিয়া দুই বল মোকাবেল করে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সাজঘরে। মানে এই দু’জন ক্রিজে থেকেছেন মোটে ১২ টা ডেলিভারি। তাতে পাকিস্তান হজম করেছে মাত্র ১৩ রান। ম্যাচটা এখানে অনেকটাই বের হয়ে গিয়েছে। একবার ভারতের স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে গেলে পাকিস্তানের জন্য বিপদ হতে পারতো।

দুবাইয়ের মাঠেই আসছে বুধবার পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান দল। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের জন্য এশিয়ার নবীন এই শক্তির ইতোমধ্যেই বেশ নামডাক। তাই, আফগানদের বিপক্ষে লড়াইটা কোনো ভাবেই হালকা চালে খেললে পোষাবে না পাকিস্তানের। আর এই ম্যাচটা জিতে গেলেই ফাইনালের দরজাটা পরিস্কার দেখতে পাবে সর্বশেষ দুই ম্যাচের সবগুলোতে জেতা পাকিস্তান। বাবর আজম আর তাঁর সতীর্থরা নিশ্চয়ই সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন এই মুহূর্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link