লড়াই করেও পাকিস্তান শাহিনসের পরাজয়!

ফয়সাল আকরামের ফাইফারও বাঁচাতে পারলো না পাকিস্তান শাহিনসকে। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে পার্থ স্কর্চার্স জয় পেল দুই উইকেটে। ম্লান হয়ে গেল ফয়সালের অনবদ্য ঘূর্ণি জাদু।

ফয়সাল আকরামের ফাইফারও বাঁচাতে পারলো না পাকিস্তান শাহিনসকে। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে পার্থ স্কর্চার্স জয় পেল দুই উইকেটে। ম্লান হয়ে গেল ফয়সালের অনবদ্য ঘূর্ণি জাদু।

পাকিস্তানের দেওয়া ১১২ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটে নামে পার্থ। তবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে তারা। স্কোরবোর্ডের অবস্থা তখন তিন উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান।

তবে জয়েল কার্টিসের ব্যাটে সাময়িক বিপদ কাটিয়ে ওঠে পার্থ। আর এরপরেই ফয়সালের হানা। ৭৬ থেকে ১০০ রানের মধ্যে একা হাতে ধসিয়ে দিয়েছেন পার্থের ব্যাটিং অর্ডার। ফয়সালের জাদুকরী ঘূর্ণিতে রীতিমতো খেয় হারিয়ে ফেলে তারা। যেন বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ।

সমীকরণ দাঁড়ায়—জিততে হলে পার্থের দরকার ১২ রান, আর পাকিস্তানের দরকার দুই উইকেট। সম্ভাবনার হাওয়া তখন পাকিস্তানের দিকেই।

তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে উবাইদ শাহকে ব্রডি কচ বাউন্ডারি হাঁকালে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের শেষ আশাটুকু। আর কোনো বিপত্তি না ঘটিয়ে পার্থ জয় তুলে নেয় দুই উইকেট হাতে রেখেই।

তবে হারলেও সব আলোটা ফয়সালের দিকে। যেভাবে বল করেছেন এই রিস্ট স্পিনার, তা সবারই মন জয় করেছে। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়েই তুলেছেন পাঁচ উইকেট। লড়াই চালিয়ে গেছেন শেষপর্যন্ত। তাই দল হারলেও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই।

পাকিস্তান শাহিনসের ব্যাটাররা হতাশ করেছে পুরোপুরি। স্কোরবোর্ডে আর কিছু রান থাকলে হয়তো দৃশ্যপট ভিন্ন হতে পারত। বোলারদের চেষ্টাটা সফল হতো।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link