মুঝে কিউ মার রাহে হো, উইকেট টু উইকেট মারো – লিটন দাসের কাছে যেন ছোট ভাইয়ের মত আবদার করে বসেছিলেন ঋষাভ পান্ত। দৌড়ে সিঙ্গেল রান নিতে চেষ্টা করায় উইকেটের পিছন থেকে লিটন বল থ্রো করতে উদ্যত হলে এমনটা বলে ওঠেন তিনি। লিটনও অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে নিজের বার্তাটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে।
ইনিংসের তখন ষোল ওভার চলমান, দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে ছিল ভারত। সে সময় উইকেটে আসেন পান্ত, তাঁকেও চাপের মুখে রেখেছিলেন হাসান মাহমুদরা। তাই তো ঝুঁকি নিয়ে হলেও রান বের করে সেই চাপ কাটাতে চেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ঘটে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা, তাঁর প্যাডে লেগে বল মিড উইকেটের দিকে গেলে দৌড়ে রান নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে এমন চিত্র দেখা যায় না, পা দিয়ে কোন ডেলিভারি খেললে এরপর আর রান নেন না ব্যাটাররা। তবে ভারতীয় উইকেটরক্ষক একটু ফায়দা নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা পছন্দ হয়নি টাইগার তারকার।
সেজন্যই দু’জনের মধ্যে খানিকটা বাক্য বিনিময় হয়, তবে সে রকম গুরুতর কিছু হয়নি অবশ্য। লিটন দাস কেবল নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।
বাঁ-হাতি ব্যাটার হয়তো একটু নার্ভাস ছিলেন এদিন, ৬২৯ দিন পর টেস্ট খেলতে নামা মোটেই সহজ কিছু নয়৷ ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি, এরপর ডিসেম্বরে মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সেই ট্রমা কাটিয়ে অবশেষে লাল বলের খেলায় প্রত্যবর্তন ঘটলো তাঁর।
প্রত্যাবর্তনে অতিমানবীয় কিছু করতে না পারলেও নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটাই খেলেছেন এই তরুণ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর কাউন্টার অ্যাটাকের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ৩৪ রানে তিন উইকেটের পতন ঘটলে উইকেটে আসেন, ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে গড়েছেন ৬২ রানের জুটি।