স্ট্যাম্প বরাবর ফুলার লেন্থের ডেলিভারি, কিছুটা হাঁটু ভেঙ্গে সেটাকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারা হলো; ছক্কাটা অবশ্য এক হাতে মেরেছেন ব্যাটার, ওয়ান হ্যান্ডেড ফ্লিক – পারফর্মারদের দুনিয়ায় নিজের প্রত্যাবর্তনের বার্তা দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল শট বোধহয় খেলতে পারতেন না ঋষাভ পান্ত। নিজের আইকনিক দৃশ্য আরেকবার মনে করিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়েই পুরনো রূপে আবির্ভূত হলেন তিনি।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে এদিন মাত্র ৩২ বলে ৫১ রান করেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। চার চারটি ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি; সেই সাথে দলকে এনে দিয়েছেন পাহাড়সম পুঁজি। দীর্ঘ বিরতি শেষে ক্রিকেটে ফেরার পর এটিই তাঁর প্রথম ফিফটি।
তিন নম্বরে নেমে শুরুটা অবশ্য রয়ে সয়েই করেছিলেন এই বাঁ-হাতি। অল্প সময়ের ব্যবধানে চার উইকেটের পতন ঘটায় আগে বিপর্যয় সামলেছেন তিনি। এরপর সময় গড়াতেই নিজের বিধ্বংসী পরিচয় প্রকাশ করেছেন।
আঠারোতম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে এক চার ও এক ছয় হাঁকিয়ে আক্রমণের সূচনা করেছিলেন এই তারকা। পরের ওভারে ইনিংসের সেরা বোলার মাতিশা পাথিরানাকে টানা তিন বলে এক ছয় ও দুই চার মেরেছেন তিনি। পরের বলে আউট হলেও ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছিল আরও একটি অর্ধ-শতক।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। ক্রিকেট খেলা তো দূরে থাক, আর কখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন কি না সেটি নিয়েও সংশয় ছিল শুরুতে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, চলতি আইপিএল দিয়ে মাঠেও ফিরেছেন তিনি।
লম্বা সময় পর ফিরলেও পান্তের উপর ভরসা করতে ভুল হয়নি দিল্লির, এক মুহূর্ত না ভেবে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল তাঁর হাতে। প্রথম দুই ম্যাচে ঠিকঠাক সেই দায়িত্ব পালন করলেও ব্যাটিংটা মন মতো করতে পারেননি। তবে এবার সেই অপেক্ষাও ফুরিয়েছে, সেরা ছন্দে দেখা গেল তাঁকে। এখন কেবল সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা, তিনি সেটাই করবেন নিশ্চয়ই।