শাহীন শাহ’র সাথে প্রতারণা করেছে পাকিস্তান!

বেশ ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তান ক্যাম্পে। বোর্ড এবং ক্রিকেটারদের মাঝে যেমন সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এমন কার্যকলাপে তেমনি শাহীন ও বাবরের মাঝেও অদৃশ্য দেয়ালের সৃষ্টি হয়েছে এখন।

অধিনায়কত্ব নিয়ে একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। হুট করেই শাহীন শাহ আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবর আজমকে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব দিয়েছে তাঁরা; তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে তাঁদের বিবৃতিকে ঘিরে। শাহীন শাহর দাবি, এই বিবৃতিতে তাঁর উক্তি ব্যবহার করা হলেও এসব কিছু বলেননি তিনি।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জের ধরে গত ডিসেম্বর মাসে রঙিন জার্সিতে জাতীয় দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল এই তরুণকে কিন্তু এক সিরিজ যেতে না যেতেই সাবেক অধিনায়ক বাবরকেই আবার নেতৃত্বের আসনে বসাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে পিসিবি; ইতোমধ্যে নিজেদের ইচ্ছে পূরণও করেছে তাঁরা, কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় বাঁ-হাতি পেসারের সঙ্গে একবারও খোলাখুলি আলোচনা করা হয়নি।

অথচ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিলেছে ভিন্ন চিত্র। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন অধিনায়ক সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার স্মৃতি আমি সব সময় মনে রাখব। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার দায়িত্ব অধিনায়ককে পূর্ণ সমর্থন করা। আমি এর আগেও বাবরের অধীনে খেলেছি, তাঁর প্রতি আমার সম্মান রয়েছেন।’

অথচ এমন কিছু কখনো বলেননি লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক। পিসিবির পক্ষ থেকেও তাঁকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

সবমিলিয়ে বেশ ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তান ক্যাম্পে। বোর্ড এবং ক্রিকেটারদের মাঝে যেমন সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এমন কার্যকলাপে তেমনি শাহীন ও বাবরের মাঝেও অদৃশ্য দেয়ালের সৃষ্টি হয়েছে এখন। যেভাবে অধিনায়কত্বের চেয়ার নিয়ে টানা- হেঁচড়া হয়েছে সেটাই মূলত এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই এসব মেনে নিতে পারছেন না শাহীন শাহ আফ্রিদি; কেন তাঁকে অধিনায়ক করা হলো, কেন-ইবা সরিয়ে দেয়া হলো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি টিম ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে। দেশের অন্যতম সেরা তারকার অসন্তুষ্টি নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলবে দলের অন্যদের মাঝে। দ্রুতই তাই চলমান সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে পিসিবিকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...