টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে উইকেট কিপার নিয়ে ততই ভাবনা বাড়ছে ভারতীয় নির্বাচকদের। সাঞ্জু স্যামসন, দীনেশ কার্তিকদের সঙ্গে ভাবনার টেবিলে জায়গা করে নিয়েছেন ঋষাভ পান্তও। তবে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার প্রলোভনে তিনিই কি না ডোবালেন নিজের দল দিল্লি ক্যাপিটালসকে?
অবাক করার মত হলেও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দিল্লির ম্যাচে মোট ৪৬৫ রান তুলেছেন দুই দলের ব্যাটাররা, অর্থাৎ গড়ে প্রায় ১৯৪ স্ট্রাইক রেট ব্যাট করেছেন সবাই। অথচ এমন ব্যাটিং স্বর্গ পেয়েও পান্ত কি করলেন, স্রেফ ১২৫ স্ট্রাইক রেটে খেললেন! পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাঁর দল ঠিক এখানেই হেরে গিয়েছে; প্যাট কামিন্সরা পেয়েছে ৬৭ রানের বড় জয়।
এদিন ৩৫ বল খেলে মাত্র ৪৪ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। এ রান করতে আবার পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্য প্রয়োজন হয়েছে। যার মানে দাঁড়ায়, ছয় বল থেকে এসেছে ২৬ রান। বাকি ১৮ রান করতে তাঁর মোকাবিলা করতে হয়েছে ২৯ বল, একেবারেই মেনে নেয়ার মত নয়।
তিনি যখন বাইশ গজে আসেন তখন ইনিংসের মাত্র নবম ওভার। স্কোরবোর্ডে ততক্ষণে অবশ্য জমা হয়েছিল ১৩৫ রান, জয়ের সমীকরণটা তাই কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু জয়ের পিছনে ছুটতে দেখা যায়নি তাঁকে, বরং নিজের রান বাড়ানোর দিকেই নজর ছিল বেশি।
ফ্রেসার ম্যাকগার্ক, অভিষেক পোড়েল দারুণ ভিত গড়ে দিয়েছিলেন; সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ছড়ি ঘোরানোর কথা ছিল বাকি ব্যাটারদের। যদিও এই তারকা সে চেষ্টা করেননি, সাবধানী ভঙ্গিমায় স্ট্রাইক রোটেট করেছেন আর সুযোগ বুঝে দুই একটা বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। মনে হচ্ছিলো, হাতের নাগালে থাকা কোন রান তাড়া করছেন বুঝি।
নিজের খেলা প্রথম বিশ বলে মাত্র ১৬ রান করেছিলেন এই উইকেটকিপার, ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে পাওয়া মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে কিছুটা হাত খুলে খেলেছিলেন বটে, কিন্তু সেটা তাঁর ব্যক্তিগত স্ট্রাইক রেট বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপকারে আসেনি।