Social Media

Light
Dark

উমরান মালিকের ফেরার পথ এখন একটাই

এই কোচ মনে করেন দীর্ঘ মেয়াদে যত্ন নিলে তবেই উমরানের মত উদীয়মানরা স্থায়ী হতে পারবে। শারিরীক এবং মানসিকতা পূর্ণ পরীক্ষা দেয়ার পরে তবেই তাঁদের জাতীয় দলে নেয়ার পক্ষপাতী তিনি। এক্ষেত্রে নিয়মিত চারদিনের ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই।

হঠাৎ করেই ভারতের আসমানে গতির নক্ষত্র হয়ে উদিত হয়েছিলেন উমরান মালিক। ২০২২ আইপিএলে ২২ উইকেট শিকার করার পাশাপাশি বিধ্বংসী গতিতে তিনি বিস্মিত করেছিলেন সবাইকে। জাতীয় দলেও চলে আসেন দ্রুতই, আকাশী-নীল জার্সিতে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিতেও ভুল হয়নি তাঁর। বনে গিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারির মালিকও।

ঘন্টায় ১৫১ কিমিতে বোলিং করে নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলা কিংবা বেল উড়িয়ে ত্রিয় গজের বাইরে নিয়ে যাওয়া – এই ডান-হাতি করে দেখিয়েছেন সবই। কিন্তু বলের গতির মতই চোখের পলকে আবার পতন ঘটেছে তাঁর; জায়গা হারিয়েছেন জাতীয় দলে, আইপিএলেও ব্যর্থতার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। সবশেষ মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ মাত্র এক ম্যাচ খেলিয়েছে তাঁকে।

দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে এবার অবশ্য দিলীপ ট্রফিতে ফেরার কথা ছিল উমরানের কিন্তু অসুস্থতার কারণে আবারও ছিটকে পড়লেন। তাঁর এমন অধঃপতনের কারণ আর উত্তরণের উপায় বাতলে দিলেন সাবেক ভারতীয় বোলিং কোচ পরশ মাম্ব্রে নিজেই।

তাঁর মতে, লাল বলে খেলার তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায় এই তরুণ বারবার হোঁচট খাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘যারা লাল বলে যথেষ্ট ম্যাচ খেলেনি তাঁদের জন্য ক্লাসিক উদাহরণ উমরান। আইপিএল দিয়ে সে নিজেকে চিনিয়েছে, এটা মাত্র ২৪ বলের খেলা। টেস্ট ক্রিকেটের মত চাপ এখানে নেই; আমি বিশ্বাস করি টি-টোয়েন্টি আসলে কাউকে বিচার করার জন্য উপযুক্ত নয়।’

এই কোচ মনে করেন দীর্ঘ মেয়াদে যত্ন নিলে তবেই উমরানের মত উদীয়মানরা স্থায়ী হতে পারবে। শারিরীক এবং মানসিকতা পূর্ণ পরীক্ষা দেয়ার পরে তবেই তাঁদের জাতীয় দলে নেয়ার পক্ষপাতী তিনি। এক্ষেত্রে নিয়মিত চারদিনের ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই।

পরশ বলেন, ‘আপনি যখন এক মৌসুম খেলবেন তখনই নিজের বোলিং ভালভাবে বুঝতে পারবেন। কখনো কখনো ছয় সেশন ধরে আপনাকে মাঠে থাকতে হবে, শেষ সেশনেও প্রথম সেশনের মত একই ইন্টেন্সিটিতে বোলিং করতে পারাটা একটা চ্যালেঞ্জ। সেটা পার করে তবেই আসতে হবে।’

Share via
Copy link