বহুল প্রত্যাশিত ফাইনালের আগে ভারতের লক্ষাধিক দর্শককে চুপ করিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নিজের কথা রেখেছিলেন তিনি, ব্যাট বলের লড়াইয়ে স্বাগতিকদের পরাজিত করার পাশাপাশি আহমেদাবাদের নীল সমুদ্রকে ডুবিয়ে মেরেছেন অসহ্য নীরবতায়।
বিশেষ করে বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম স্রেফ মৃত নগরীতে পরিণত হয়। এতটাই শান্ত হয়ে গিয়েছিল যে একজনের নি:শ্বাসের শব্দ আরেকজন শুনতে পারছিল। আর এই মুহূর্ত দারুণভাবে উপভোগ করেছে বলে জানান অজি অধিনায়ক; সেই মুহুর্তের গ্যালারিকে লাইব্রেরির সাথে তুলনা করেছিলেন তিনি।
এই পেসার বলেন, ‘ফাইনালে কোহলির উইকেট নেয়ার পর আমরা উদযাপন করছিলাম এবং তখন স্মিথ বলে, ‘সবাই মন দিয়ে শোনো, গ্যালারি এখন নিশ্চুপ।’ আমরা কিছুক্ষণ থেমে তাকিয়ে ছিলাম দর্শকদের দিকে। লক্ষাধিক ভারতীয় থাকা সত্ত্বেও এটি একটি লাইব্রেরির মতো শান্ত ছিল।’
সরগরম গ্যালারি সুনসান হয়ে যাওয়া আজীবন মনে রাখবেন বলেও জানান তিনি। একইসাথে বিশ্বকাপ জেতার জন্য দলের সবার প্রশংসা করেন।
এই ডানহাতি বলেন, ‘একটা ট্রফি জিততে অনেক কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করতে পেরেছি। অল্প সময়ের ব্যবধানে সব ফরম্যাটেই ট্রফি জিতেছি, যা আমাদের পুরো কোচিং প্যানেল এবং ক্রিকেটারদের সামর্থ্যের প্রমাণ। এটা কিন্তু বেশ কঠিন বিষয়। এর জন্য কেবল ১১ জন ক্রিকেটার যথেষ্ট নয়, অন্তত ২৫ জন বিশ্বসেরাকে প্রয়োজন।’
এসবের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড নিয়েও মন্তব্য করেছেন কামিন্স। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচসংখ্যা বেড়েছে, ক্রিকেটারদের ওপর চাপও বেড়েছে। কিন্তু পুরোপুরি ফিট থাকলে কারোই খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত না। বিশেষ করে পেসারদের প্রায়ই ছোটখাটো ইনজুরি হয়ে থাকে, তাতে ভেঙে পড়লে চলবে না।’
বিশ্বকাপ শেষে এখন অস্ট্রেলিয়ার সামনে পাকিস্তান সিরিজ। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নরা নিশ্চয়ই চলমান চ্যাম্পিয়নশীপের শুরুটা দারুণ ভাবেই করতে চাইবে; এখন দেখার বিষয় প্যাট কামিন্সদের সেই চাওয়া কতটুকু পূরণ হয়।