শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজেও ধারাবাহিকভাবে রান করে গিয়েছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা। তবে সেবার ভাগ্য খুব একটা সহায় হয়নি তার। কিন্তু এদফা আর তেমনটি হচ্ছে না। জয়ের নায়ক হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ডানহাতি এই মারকুটে ব্যাটার।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে শুরুতে চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্রুততম সময়ে আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন। ঘনিভূত সেই চাপকে বেশ সাবলীলভাবেই সামলে নিয়েছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা। নিজস্ব গতিতে তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন। জয়ের পথটা সুগম হতে থাকে তার খেলা প্রতিটি শটে।
কোন তাড়াহুড়ো নেই। নিজের সামর্থ্যের উপর ভরসা রেখেছেন স্রেফ। অপ্রয়োজনে ঝুঁকি নেননি। নেওয়ার প্রয়োজনও অবশ্য পড়েনি। বাংলাদেশের বোলাররা ওই শুরুর চাপকে আর ঘনিভূত করতে পারেননি। সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। মিড অনে কামিল মিশারার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন শেখ মেহেদী। আর এরপরই আগ্রাসনের পথটা বেছে নেন দুই ব্যাটারই।

৫২ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন কামিল ও পাথুম। সেই জুটির সমাপ্তি ঘটার আগেই পাথুম পৌঁছে যান ব্যক্তিগত অর্ধশতকে। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাথুম নিসাঙ্কা। তার খেলা ৩৪ বলের ইনিংসের ছিল ৬ চার ও একটি ছক্কা। ১৪৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সহজ জয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার।
শেখ মেহেদীর বলে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাথুম। বাউন্ডারি লাইনে বেশ প্রশংসনীয় এক ক্যাচই তালুবন্দী করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তাতে করে পাথুম নিসাঙ্কার ইনিংস থামে বরাবর পঞ্চাশ রানে। ১০৮ রানে লঙ্কার দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাথুম। কিন্ত ততক্ষণে জয়ের পেন্ডুলাম ঝুকে গেছে শ্রীলঙ্কার দিকে। শেষ অবধি চার উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা।
১৪.৪ ওভারের মধ্যেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুমের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনে রানরেটেও বেশ বড়সড় লাফ দিয়েছে চারিথ আসালাঙ্কার দল। তাতে করে সুপার ফোরে যাওয়ার পথটাও হয়েছে সুগম। উলটো চিত্র বাংলাদেশের। সমীকরণের মারপ্যাঁচে আটক বাংলাদেশ।












