বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান টেস্ট নিয়ে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝেই রয়েছে আগ্রহ আর উদ্দীপনা। তবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), তাতেই নড়চড়ে বসেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষ করে বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য এমন ঘোষণা যথেষ্ট, কারণ পাকিস্তানে সব সময়ই নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।
যদিও এবার সে রকম কোন কারণে নয়, বরং ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় করাচি টেস্টে কোন দর্শক গ্যালারিতে বসতে পারবে না। মূলত ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপলক্ষে দেশের প্রায় সব আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পিসিবি। ১৯৯৬ সালের পর এবারই প্রথম আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে তাঁরা, তাই প্রস্তুতির কোন কমতি নেই।
এক্ষেত্রে কি করাচি টেস্ট অন্য কোন স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা যেত না এই প্রশ্ন অবশ্য উঠেছে। আসলে হুট করে একটা ম্যাচ অন্য আরেকটি শহরের আরেকটি স্টেডিয়ামে সরিয়ে নেয়ার ফলে অর্থনৈতিকভাবে বড় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সংস্থাটি জানায়, ‘সমর্থকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। সব সম্ভাব্য উপায় ভেবে দেখার পর দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দর্শক শূন্য অবস্থায় আয়োজন করাটা সকলের জন্য ভাল হবে। এবং এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই যে স্টেডিয়াম সংস্কারের ফলে দর্শকদেরই সবচেয়ে সুবিধা হবে।’
যদিও আগামী মাসের পনেরো তারিখ একই স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাবর আজম, শান মাসুদরা। সেই ম্যাচ স্বাভাবিক অবস্থাতেই আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশ দল অবশ্য ইতোমধ্যে পাকিস্তান পৌঁছে গিয়েছে, পরিকল্পিত সূচির চারদিন আগেই দেশ ছেড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশে চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিসিবি নির্ধারিত তারিখের আগেই ভ্রমণ করার আমন্ত্রণ জানায় এবং অনুশীলনের সব রকমের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।