‘বাতিল’-এর খাতায় অনেক আগেই চলে গিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের ধারে কাছেও নেই। লড়াইয়েও নেই। তবে, ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে হয়তো সুখবর আর আশাও করেন না কামরান আকমল। তবে, দু:সংবাদ শোনাটাও নিশ্চয়ই তাঁর জন্য প্রত্যাশিত নয়। এবার সেটাই ঘটল।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কামরান আকমলকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে পিসিবি। অবশ্য দায়টা এখানে কামরানেরই। কারণ, তিনি খোদ পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজাকে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কামরানের এক ঘনিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বোর্ডের আইন বিভাগ থেকে চিঠি পেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঠিক কি অভিযোগ কামরানের বিরুদ্ধে করা হয়েছে – সেটা আমি নিশ্চিত নই। তবে, এটা নিশ্চিত যে বোর্ড চেয়ারম্যান মনে করছেন কামরান গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, মিথ্যা ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছে।’
বোর্ডের একটা সূত্র জানিয়েছে, এমন চিঠি কেবল কামরান আকমলকেই না, সাবেক অনেক ক্রিকেটারকেই পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে আসেন তাঁদের আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে পিসিবির আইন বিভাগ। ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে আজকাল বেশ সরব শোয়েব আখতার, শহীদ আফ্রিদি, ইনজামাম উল হক, রশিদ লতিফ কিংবা আকিব জাভেদদের মত কিংবদন্তিরা।
বোর্ডের সূত্র বলছে, ‘তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ দল, টিম ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড ও সভাপতির সমালোচনা করতে গিয়ে সীমা অতিক্রম করেছেন। রমিজ একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে পাকিস্তান ক্রিকেটকে অবমাননা যেই করুক না কেন তাঁকে একটুও ছাড় দেওয়া হবে না।
পিসিবির আইন বিভাগকে রমিজ রাজা কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা হয়েছে, সাবেক কোনো খেলোয়াড় তাঁদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল কিংবা কোনো টেলিভশন চ্যানেলে মানহানিকর, আপত্তিকর, কিংবা ব্যক্তিগত ও মিথ্যা আক্রমণ করে পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি করতে চাইলে তাঁদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।
বিশ্বকাপ চলাকালে পাকিস্তানি সাবেকরা সত্যিই গণমাধ্যমে ছিলেন বেশ সরব। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের পর তাঁদের মুখ লাগামহীন হয়ে উঠেছিল। কেউ টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করছিলেন, কেউ অধিনায়ক পাল্টাতে বলছিলেন, কেউ বা আঙুল তুলছিলেন বোর্ড সভাপতির দিকে।
যদিও, পাকিস্তান সুপার টুয়েলভের শেষ দিকে নিজেদের মেলে ধরে টানা তিন ম্যাচ জিতে ও কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে সেমিফাইনালে আসে। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিলেও ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ রক্ষা হয়নি। হারতে হয় পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
যদিও, এটা ঠিক যে ১৩ বছর পর কোনো বিশ্বকাপ আসরের ফাইনালের টিকেট পেলেও পাকিস্তানের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সত্যিই জায়গা ছিল।