১৯৭০ বিশ্বকাপকে বলা হয় পালাবদলের বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো রঙিন টেলিভিশনে সম্প্রচার করা বিশ্বকাপ। তবুও মেক্সিকোর সেই বিশ্বকাপকে সবাই মনে রেখেছে পেলের অমরত্বপ্রাপ্তির বিশ্বকাপ হিসেবে। ব্রাজিলের জুলেরিমে ট্রফি নিজেদের করে নেবার বিশ্বকাপ হিসেবে।
এডসন আরান্তেস দো নসিমেন্ত, বিশ্ববাসী যাকে চেনে পেলে নামেই। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেকের দুই বছর বাদেই বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন নিজের আগমণ। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ নিজের করে নেবার পাশাপাশি ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে বল জালে জড়ান দুইবার। চার বছর বাদে চিলিতেও উড়েছিল ব্রাজিলের বিজয় কেতন। ইনজুরির কারণে গ্রুপপর্বেই পেলে ছিটকে গেলেও তারকানির্ভর ব্রাজিলের জিততে সমস্যা হয়নি।
এরপর আর পেলের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস পায়নি কেউই। গতিশীল, শক্তিশালী, স্কিলফুল, বুদ্ধিমান, টিম প্লেয়ার- এক অঙ্গে বহুরূপী ফুটবলার তো আগে কখনো দেখেনি ফুটবল বিশ্ব। তিনি ছিলেন বৈশ্বিক তারকা, বিশ্ববাসীকে মাতিয়ে রাখতেন পায়ের জাদুতে।
তবে মুদ্রার উল্টোপিঠও দেখতে হয়েছিল চার বছর বাদে। বিশ্ববাসী যেখানে মুখিয়ে ছিল পেলের জাদু দেখার, সেখানে গুডিসন পার্কে পর্তুগালের বিপক্ষে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন পেলে। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার জোয়াও মোরাইস যেন সেদিন প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন পেলেকে খেলতে দেবেন না, ফাউলের পর ফাউল করে গেছেন নিদ্বিধায়। ব্রাজিলকেও দেখতে হয়েছিল লজ্জাজনক পরিণতি, ৩-১ গোলে হেরে বাদ পড়তে হয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই। জুলেরিমে ট্রফি নিজেদের করে নেবার অপেক্ষাটা আরো চার বছর দীর্ঘায়িত হয় ব্রাজিলের।
সেই বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের আত্নজীবনীতে পেলে বলেছিলেন, ‘লজ্জাজনক এক পরিণতি। সবাই ভেবেছিলামরা সহজেই জিতে যাবো। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি ১৯৫৮ কিংবা ১৯৬২ বিশ্বকাপের মতো ভালো ছিল না। ইংল্যান্ডে পা রাখার আগেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম।’
ব্রাজিলের অহমে এ যেন হাতুড়ির আঘাত। এ যেন খোদ ফুটবল ঈশ্বরের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ। ব্রাজিলের বস্তি থেকে উঠা আসা পেলে ছিলেন সারাবিশ্বের অসহায় মানুষের ভরসার প্রতীক। এমনকি পেলেকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করা হয়েছিল যেন ইউরোপের ক্লাবগুলো তাঁকে নিয়ে যেতে না পারেন। পেলেকে হারানোর কথা তাই স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ব্রাজিল।
তবে সময়ের চাইতে বড় প্রতিষেধক বোধহয় আর নেই। সময় ভুলিয়ে দেয় সব ক্ষত, পূর্বের দুর্বিসহ সব স্মৃতি। চার বছর বাদে যখন পেলে আবারো এসেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে, ততদিনে বদলে গেছেন ভীষণভাবে।
তরুণ এক যুবক থেকে দায়িত্ববান বাবা হয়েছেন। সান্তোসের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর তাঁকে চনমনে করে তুলেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাতে তুমুল সংবর্ধনা পেয়েছিলেন পেলে, কালো মানুষের আশা ভরসার প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন। ফুটবল নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনাই বদলে গিয়েছিল সেই সফরের পর।
তাছাড়া ক্লাব ক্যারিয়ারেও ছিলেন দারুণ ফর্মে। এক হাজার গোলের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছেন বিশ্বকাপের আগের বছরেই। ব্রাজিলসহ গোটা বিশ্বেই সাড়া পড়ে গিয়েছিল তাতে, কোনো কোনো গণমাধ্যম তো চাঁদে মনুষ্যজাতির পা রাখার ঘটনার সাথে তুলনা করেছিল পেলের হাজার গোলের মাইলফলককে। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও সবাই চাইছিলেন তিনি যেন ফিরে।
ফুটবলের জাদুকর পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করছেন এটা যেন মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। পরে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে ভালো প্রস্তুতি গ্রহণের আশ্বাস পেয়ে পুনরায় ফিরে আসেন। তাছাড়া সেই বিশ্বকাপ থেকেই প্রথমবারের মতো লাল-হলুদ কার্ডের প্রচলন করে ফিফা। ফলে অপ্রত্যাশিত সব ফাউলের হাত রক্ষা পান আক্রমণভাগের ফুটবলাররা।
জোয়াও সালহানহার অধীনে ছয় গোলে অবদান রাখার পাশাপাশি জিতেছিলেন সবগুলো ম্যাচই। কিন্তু দল সংক্রান্ত জটিলতায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেনারেল মেদিচির সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রেসিডেন্ট তাঁর পছন্দের ফুটবলারকে দলে নেবার কথা বললে সালদানহা সরাসরি বলেন, “তাঁর প্রসিডেন্ট কেবিনেট আমি ঠিক করে দিই না।” বিশ্বকাপের আগে তাই তাঁকে সরিয়ে নতুন কোচ করা হয় মারিও জাগালোকে। যদিও যাবার আগে পেলের বিপক্ষে নানা অভিযোগ করে যান সালহানহা, দাবি করেন অসুস্থতায় ভুগছেন পেলে।
মারিও জাগালো ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ বিশ্বকাপে ছিলেন পেলের সতীর্থ। একসাথে লড়াই করে ব্রাজিলকে এনে দিয়েছেন বিশ্বসেরার খেতাব, জানেন মাঠে কতটা মোহনীয় ফুটবল খেলতে জানেন্ তাঁর সতীর্থ। তিনি দায়িত্ব পেয়েই পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনেন পেলেকে। যেহেতু মাঠে পারফর্ম করতে পেলের তেমন সমস্যা হচ্ছিল না, মাঠের বাইরের বিষয় তেমন মাথা ঘামাননি তিনি।
তবে, ঝামেলা বাঁধে টোস্তাওকে নিয়ে, বিশ্বকাপের মাত্র মাসতিনেক আগে চোখের অস্ত্রোপচার করান তিনি। শুরুতে বিশ্বকাপে খেলতে না চাইলেও পরবর্তীতে পেলের অনুরোধে রাজি হন। জেয়ারজিনহো, গারসন, রিভেলিনো, কার্লোস আলবার্তোদের নিয়ে দুর্দান্ত এক দল গড়েই মেক্সিকোতে পা রাখে ব্রাজিল।
সেবারের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল মেক্সিকোতে। মায়ান সভ্যতার সূচনালগ্ন যেই দেশে সেই মেক্সিকোতে। পেলেকে মাঝখানে রেখে টোস্তাও-রিভেলিনো-গারসনদের নিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণভাগ গড়ে তোলেন জাগালো। পাশাপাশি নিচে থেকে অধিনায়ক কার্লোস আলবার্তোও যোগ দিতেন আক্রমণভাগে।
জেয়ারজিনহো আর রিভেলিনো দুই উইং ধরে আক্রমণে উঠতেন, অন্যদিকে পেলের পেছেন টোস্তাও ছিলেন ফলস নাইন রোলে। আক্রমণভাগের ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও গারসনকে কোচ ব্যবহার করেছিলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। আর তাতেই বিশ্ব দেখেছিল ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলা দলটাকে।
৫৮ বিশ্বকাপে ছিলেন কিশোর, ৬২ তে যুবক আর ৬৬ বিশ্বকাপে সাইডলাইনে বসে দেখেছিলেন দলের লজ্জাজনক পরাজয়। মেক্সিকো বিশ্বকাপে তাই অভিজ্ঞ এক পেলেকে দেখেছিল বিশ্ববাসী। প্রথম ম্যাচেই চেকোস্লোভাকিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচের লাগাম হাত থেকে ছুটতে দেয়নি ব্রাজিল। জেয়ারজিনহোর জোড়া গোলের পাশাপাশি রিভেলিনো আর পেলের গোলে ৪-১ গোলের বড় জয় ব্রাজিল।
সেই ম্যাচে গোলের চাইতে আক্ষেপেই বেশি পুড়েছিলেন পেলে। বক্সের মাথা থেকে তাঁর অবিস্মরণীয় লব গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারলেও বারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। অন্যথায় দারুণ এক গোলের সাক্ষী হতেন সেদিনের দর্শকেরা।
পরের ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। পেলের কাছে সেটা ছিল ফাইনালের আগে ফাইনাল। প্রতিশোধের ম্যাচে ইংলিশরা সেদিন খেলেছিল লজ্জাজনক রক্ষণাত্নক কৌশলে, মাঠে থাকা এগারোজন ইংলিশই সেদিন নিজেদের ডি বক্স থেকে বের হননি। তাতেও আটকানো যায়নি ব্রাজিলকে, জেয়ারজিনহোর একমাত্র গোলে সেদিন শেষ হাসি হেসেছিল তাঁরাই।
গোলদাতা জেয়ারজিনহো হলে গোলের মূল রূপকার ছিলেন টোস্তাও, তিনজন ইংলিশম্যানকে কাটিয়ে গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন তিনিই। সেই ম্যাচেই গর্ডন ব্যাংকস করেছিলেন ফুটবলের ইতিহাসের আইকনিক সেই সেভ, খুব কাছে থেকে পেলের নেয়া জোরালো সেই হেড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য দক্ষতায়। ম্যাচশেষে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ববি মুর জার্সি বদল করেছিলেন পেলের সাথে। সাদা-কালোর মেলবন্ধনের সেই ছবি আজো নস্টালজিক করে তোলে বিশ্ববাসীকে। শেষ ম্যাচে পেলের জোড়া গোলে রোমানিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে পা রাখে ব্রাজিল।
কোয়ার্টার ফাইনালে মহাদেশীয় প্রতিপক্ষ পেরুর মুখোমুখি হন পেলেরা। পেরুভিয়ানদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল তাঁদের কোচিং স্টাফে ছিলেন দিদি, ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা জানতেন অন্দরমহলের সব খবরই। যদিও তাতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ব্রাজিলের, পেরুকে হেসেখেলেই ৪-২ গোলে হারিয়ে তাঁরা পৌঁছে যায় শেষ চারে।
শেষ চারে তাঁরা মুখোমুখি হয় আরেক প্রতিবেশি উরুগুয়ের। সেই উরুগুয়ে যাদের কাছে মারাকানায় হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ব্রাজিলের। ব্রাজিলের সেমিপেশাদার ফুটবলার ডোন্দিনহো তখন তাঁর ছেলেকে নিয়ে রেডিওতে বিশ্বকাপ শুনছিলেন। ব্রাজিলের হারের পর ক্রন্দনরত পিতাকে স্বান্ত্বনা দিতে সে বলেছিল, ‘আমি থাকলে কখনোই ব্রাজিলকে হারতে দিতাম না। দেশকে আমি বিশ্বকাপ এনে দিব।’
সেই বালকটিই ছিলেন পেলে, উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচ তাঁর জন্য ছিল ভীষণ আবেগের। দুই যুগ পর সেই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করার সুযোগ আসে পেলের সামনে।
যদিও ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি। বিশ মিনিটের মাঝেই লুইস কুবিলার গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। স্টেডিয়ামে থাকা দর্শকের মাঝে তখন ফিরে ফিরে আসছে পুরনো সেই স্মৃতি। তবে এ ব্রাজিল যেন অন্য ধাতুতে গড়া, হারের স্বাদ তাঁরা জানে না।
বিরতিতে যাবার আগের মিনিটে ক্লোদোয়ালদো প্রথম আন্তর্জাতিক গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে জেয়ারজিনহোর গোলে প্রথমবারের মতো ম্যাচে লিড পায় ব্রাজিল। আর শেষ মিনিটে গোল করে উরুগুয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন রিভেলিনো। পেলে আর বিশ্বকাপের মাঝে তখন দূরত্ব কেবল এক ম্যাচের।
দুইবার করে বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল এবং ইতালি মুখোমুখি হয় ফাইনালে। জয়ী দল চিরতরে নিজেদের করে পাবে জুলে রিমে ট্রফি। অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সফলতম দুই দলের লড়াই দেখতে সেদিন উপস্থিত হয়েছিলেন লক্ষাধিক দর্শক।
ম্যাচের প্রথম থেকেই ইতালিয়ানরা তাঁদের স্বভাবসুলভ রক্ষণাত্নক কাতানাচ্চিও ধারার ফুটবল খেলতে থাকে। কিন্তু জয়ের নেশায় উন্মাতাল ব্রাজিলকে আটকে রাখা যায়নি বেশিক্ষণ, ১৮ মিনিটেই পেলে গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। রিভেলিনোর ক্রসে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান তিনি। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে রবার্তো বোনিনসেগার ভুলে সমতায় ফেরে ইতালি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামে ব্রাজিল। অন্যদিকে জার্মানির বিপক্ষে সেমিতে ১২০ মিনিটের ম্যারাথন লড়াই শেষে ইতালিয়ানরা যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ইতালিয়ানদের ঝিমিয়ে পড়ার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ৬৬ মিনিটে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে দলকে লিড এনে দেন গারসন। পাঁচ মিনিট পরের লিড ৩-১ করেন বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই গোল করা জেয়ারজিনহো।
তবে ব্রাজিলের সব সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছিল ফাইনাল তথা টুর্নামেন্টের শেষ গোলটাতে। ম্যাচ শেষ হবার মিনিট তিনেক আগে গোলরক্ষকের কাছে থেকে আসা বল নয়জনের পা ঘুরে আসে বক্সের সামনে থাকা পেলের কাছে। সবাই ভেবেছিলেন ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে তিনি নিজেই শট করবেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ডানপ্রান্তের ফাঁকা জায়গাটাতে আলতো করে পাস বাড়ান পেলে।
কিন্তু, কেউ না থাকায় সবাই আফসোস করে উঠেন সুন্দর পাসিং আক্রমণের করুণ সমাপ্তিতে। সেই সময়টাতেই আবির্ভাব কার্লোস আলবার্তোর, ডিফেন্স থেকে ওভারল্যাপ করে উঠে এসে বুলেটগতির এক শটে বল জালে জড়ান। দলগত ফুটবলের অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে সেই গোলের গল্প আজো শোনা যায় ফুটবল রোমান্টিকদের গল্পে। ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে জুলেরিমে ট্রফি নিজেদের করে নেয় সাম্বা ফুটবলের দেশ ব্রাজিল।
শোনা যায় সেই ম্যাচের পর ব্রাজিলের ড্রেসিংরুমে এসে পেলের কাছে ক্ষমা চান এক সাংবাদিক। ক্ষমা চাওয়ার কারণ হিসেবে বলেন বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বে পেলের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ ছিল তাঁর। ফাইনালে পেলেকে মার্ক করার দায়িত্ব ছিলেন কিংবদন্তি ইতালিয়ান ডিফেন্ডার বার্গনিচ। ফাইনালের অভিজ্ঞতা তিনি বর্ণনা করেছিলেন এভাবে, ‘ম্যাচের আগে আমি নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম সেও আমাদের মতোই রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম।’