শুরুর দু:সময় কাটিয়ে

সকালের আকাশ দেখেই নাকি গোটা দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। সব সময়ই কি তাই? অন্য সব কিছুর ব্যাপারে জানা নেই। তবে, ক্রিকেট মাঠে এই কথা খাটে না সব সময়। কারণ, শুরুর দু:সময় কাটিয়ে এখানে অনেকেই কালক্রমে বড় তারকা বনে গেছেন।

সকালের আকাশ দেখেই নাকি গোটা দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। সব সময়ই কি তাই? অন্য সব কিছুর ব্যাপারে জানা নেই। তবে, ক্রিকেট মাঠে এই কথা খাটে না সব সময়। কারণ, শুরুর দু:সময় কাটিয়ে এখানে অনেকেই কালক্রমে বড় তারকা বনে গেছেন।

যদি, ব্যাটসম্যানদের কথা বলি – অনেকেরই শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ডাক দিয়েও শুরু করেছেন কেউ কেউ। তাঁদের অনেকেই পরবর্তীতে গ্রেট ব্যাটসম্যানের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

আরো পড়ুন

এবার এমন তিন ব্যাটসম্যানের কথা বলবো, যাদের ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেই শুরু হয়েছে ডাক দিয়ে। তবে, শুরুর এই অফফর্ম তাঁরা দীর্ঘায়িত হতে দেননি।

কারা তাঁরা? চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

  • রাইলি রুশো (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে অভিষেক ২০১৪ সালে, দেশের মাটিতেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তিনি সাজঘরে ফেরেন বিনা রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একই ফলাফল, এবার তাঁকে গোল্ডেন ডাকের ফাঁদে ফেলেন জিম্বাবুয়ের প্রসপার উৎসেয়া।

কালক্রমে অনেক বড় ব্যাটসম্যান হন রুশো। একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলেছেন নিয়মিত। কলপ্যাক চুক্তিতে ইংলিশ কাউন্টি খেলতে যান। এরপর এখন তিনি বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন, আর সেখানে তিনি বড় তারকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) কিংবা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) – সব জায়গাতেই দেখা যায় তাঁকে।

  • কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ড দলের অধিনয়াক তিনি। বলা হয়, তিনি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক, সেরা ব্যাটসম্যানও বটে। সময়ের আলোচিত ফ্যাব ফোরের একজন তিনি। তাঁর অধীনেই ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ব্ল্যাকক্যাপরা। দুর্ভাগা না হলে বিশ্বকাপটাও জিতে নিতেন অনায়াসে।

এই কেন উইলিয়ামসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জোড়া ডাক দিয়ে। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশিয় সিরিজ দিয়ে তাঁর অভিষেক। প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রবীন কুমারের বিপক্ষে রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁকে একই পরিণতি মুখ দেখান শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এবার নিজের মোকাবেলা করা দ্বিতীয় বলে তিনি সাজঘরে ফিরে যান।

  • শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)

জ্বি, ভুল পড়েননি। ক্রিকেটের ঈশ্বর খ্যাত শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের কথাই বলছি। বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে অভিষেক ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে। তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জোড়া ডাক দিয়ে। তখন কে জানতো, কালক্রমে তিনি এমন মহীরূহ হয়ে উঠবেন!

শচীনকে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের শুরুতে দুই ডাক উপহার দেওয়া দুই বোলার হলেন পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস ও নিউজিল্যান্ডের শেন থমসন। যদিও, শুরুর সেই জটিলতা কাটিয়ে বড় ব্যাটসম্যান হন তিনি। শুধু বড় ব্যাটসম্যানই নন, ব্যাটিংয়ের প্রায় সব ধরণের রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন তিনি কালক্রমে।

শচীন সাড়ে চারশো’র ওপর ম্যাচ খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট ১৮ হাজারের ওপর রান করেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ১০০ টি সেঞ্চুরি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...