স্রেফ পাওয়ার-প্লেতেই সীমাবদ্ধ বাংলাদেশের পরিকল্পনা!

রোজ রোজ ওপেনাররা কোনো দলেই পারফরম করেন না। সেক্ষেত্রে প্ল্যান ‘বি’ কি? টি-টোয়েন্টিতে প্রতিটা দল প্ল্যান এ থেকে জেড নিয়ে খেলে আজকাল। সেখানে শান্তরা কেন প্ল্যান ‘এ’-তে ব্যর্থ হলেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বেন?

আবারও কাঠগড়ায় উঠল বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্য। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শোচনীয় হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও মেনে নিলেন, বাংলাদেশ দল নিয়মিত বড় স্কোর গড়ার উইকেট পায় না বলেই এভাবে বিপর্যয় নেমে আসে।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ১২৭ রান ভারতের পারি দিতে লাগে মাত্র ১১.৫ ওভার। যেখানে এক পাওয়ার প্লে তেই বেশিরভাগ রান করে ফেলে ভারত। প্রথম ছয় ওভারে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৭১ রান।

পাওয়ার প্লে বিষয়টা খুবই দুশ্চিন্তার’ – এক বাক্যে মেনে নিলেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে যে এ্যাপ্রোচ ঠিক করেছিলাম, তা সফল হত যদি শুরুটা ভাল হত। পরিকল্পনা ছিল প্রথম ছয় ওভার আমাদের হাতে উইকেট রাখতে হবে, যথাসম্ভব রান তুলতে হবে। নইলে পরবর্তীতে যে আসবে তার জন্য মুশকিল হয়ে যাবে।’

পাওয়ার প্লের ব্যর্থতার দায়িত্ব নিচ্ছেন শান্ত। তার বিশ্বাস দক্ষতা আর মানসিকতাই দু’দলের মাঝে সূক্ষ্ম তফাত গড়ে দিয়েছে। পার্থক্য কমাতে দরকার পরিবর্তন।

শান্ত বলেন, ‘দশ বছর ধরেই আমরা এভাবে ব্যাট করছি। কখনো কখোনো ভালও করি। কিন্তু আমাদের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত আমরা ১৪০-১৫০ রানের উইকেটে খেলি। তাই আমাদের ব্যাটাররা বোধহয় ১৮০ টা রানও করতেও জানেন না। উইকেটকে দায়ী করবো না। তবে মানসিকতা ও দক্ষতা এক্ষেত্রে বিবেচনায় আনতে হবে।’

টি-টোয়েন্টির সংকট হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন শান্তরা। অধিনায়ক বলেন, ‘আমি বলবো না আমরা খারাপ খেলেছি। তবে আমরা এর চেয়ে ভাল। যদিও আমরা এই ফরম্যাটে বেশকিছুদিনই ভাল কিছু পাইনি। তবে আমি বিশ্বাস করিনা যে আমরা এতটাও খারাপ দল।’

শান্ত টি-টোয়েন্টিতে দারুণ একটা শুরুর প্রত্যাশা করছেন। এটাই তাঁদের চাওয়া। কিন্তু, রোজ রোজ ওপেনাররা কোনো দলেই পারফরম করেন না। সেক্ষেত্রে প্ল্যান ‘বি’ কি? টি-টোয়েন্টিতে প্রতিটা দল প্ল্যান এ থেকে জেড নিয়ে খেলে আজকাল। সেখানে শান্তরা কেন প্ল্যান ‘এ’-তে ব্যর্থ হলেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বেন?

Share via
Copy link