প্রিয়ানশ আরিয়া যখন ফিরছেন ড্রেসিংরুমে, তখন ডাগআউটে বসা সবাই উঠে দাঁড়ালেন। অভিবাদন জানালেন, কেউ কেউ পিঠ চাপড়ে দিলেন। স্রেফ ফিফটি করা একজন খেলোয়াড়ের জন্যে কেনই বা এত সম্মান প্রদর্শন! এমন বিস্ময় ছড়াতে পারে যারা আসলে প্রিয়ানশের ইনিংসটি দেখেননি তাদের মনে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটা দুই দলের জন্যেই ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষ দুইয়ে থাকলে বাড়তি একটা সুবিধা পাওয়া যায়। ফাইনালের যাওয়ার দু’টো সুযোগ মেলে। সেই সুযোগ লুফে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দুই দল। এমন ম্যাচে পাঞ্জবকে তাড়া করতে হয়েছে ১৮৫ রান।
বিপক্ষ দলে রয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ার মত ধূর্ত বোলাররা। এমনকি মিশেল স্যান্টনারের মত ঘূর্ণি জাদুকরও রয়েছে মুম্বাইয়ের আক্রমণে। এমন একটা আক্রমণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ১৭৭.১৪ স্ট্রাইকরেটের একটা ইনিংস খেলেছেন প্রিয়ানশ।
বয়স তার ২৩, খেলছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। তবুও এমন চাপের ম্যাচের বেশ সাবলীল ভঙ্গিমায় চলেছে প্রিয়ানশের ব্যাট। তার খেলা শটগুলো রীতিমত ‘এফোর্টলেস’ লেগেছে খালি চোখে।
ঝুকিপূর্ণ শটের চাইতে, নিয়ন্ত্রিত সব শটে রান তুলেছেন তিনি। নয় খানা চার অন্তত সে কথাই বলে। তাই বলে একেবারেই ছক্কা হাকাননি প্রিয়ানশ তা কিন্তু নয়। দুইখানা ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এবারের আসরে পাঞ্জাবের এখন অবধি পাওয়া সফলতার অন্যতম কারণ এই প্রিয়ানশ আরিয়া। ধারাবাহিকভাবে দলের জন্যে রান করে গেছেন। একটা গ্যাম্বেলের টেক্কা হয়ে সামনে এসেছেন প্রিয়ানশ। এখন স্রেফ তার হুকুমের এক্কা হওয়া বাকি। সম্ভাবনা আছে, আছে প্রতিভাও এখন চাই স্রেফ একাগ্রতা ও অধ্যাবসায়।