টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে পাকিস্তান, টুর্নামেন্ট থেকে গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়েছিল তাঁরা। ফলে দলে বড়সড় রদবদল আসবে এমন গুঞ্জনে ভারী হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গন। কিন্তু এখন আর তেমনটা মনে হচ্ছে না, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আপাতত ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা রাখতে চাচ্ছে। তাই বড়সড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা একেবারে কম।
আগামী শনিবার পিসিবিতে বোর্ড মিটিং আয়োজিত হবে, সেখানে বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন কোচ গ্যারি কার্স্টেন আর টিম ম্যানেজার ওয়াহাব রিয়াজ। সেই সভাতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে, কিভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরো সমৃদ্ধ করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার কোন লক্ষণ নেই।
মূলত পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভী দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে সাংঘর্ষিক কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন না। যদিও ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর পরই স্কোয়াডে ‘মেজর সার্জারি’ করতে বলেছিলেন তিনি।
কার্স্টেনের বিশ্বকাপ প্রতিবেদন ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। সেখানে তিনি খেলোয়াড়দের আরো দক্ষ হওয়ার পরামর্শ দেন, সেই সাথে তাঁদের গেম অ্যাওয়ারনেস বাড়াতে বলেন। অন্যদিকে ওয়াহাব রিয়াজ ড্রেসিংরুমের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা তুলে ধরেন।
পাকিস্তানের পরবর্তী মিশন বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ। তারপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলবে তাঁরা। আশা করা হচ্ছে যে, বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর সময় বিরতিতে থাকতে চাইবেন না। তাই হুট করেই পাকিস্তান দলে অনেক নতুন মুখের দেখা মিলবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই।
স্কোয়াডে পরিবর্তন আসুক আর না আসুক ফলাফলে অবশ্য পরিবর্তন দেখতে চাইবেন সমর্থকেরা। আসন্ন সিরিজগুলোতে তো বটেই আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভাল কিছু প্রত্যাশা করছে সবাই।