এদিন সেইন্ট ভিনসেন্টের বাতাস যেন জানান দিচ্ছিল ভিন্ন এক বার্তা। হিমালয়ের নেপালী হাওয়ায় কাপুনি ধরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই দিয়েছিল নেপাল। তবে দিনশেষে পরাজয়কেই বরণ করে নিতে হয় হিমালয় কন্যা নেপালকে।
প্রথমেই টস ভাগ্য সহায় হয় রোহিত পাউডেলদের। আর তাতেই যেন সুযোগ পেয়ে যায় নেপালের বোলাররা। দীপেন্দ্র সিং আর কুশল ভুর্টেলদের বলের মুখোমুখী হতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। প্রথমে রানের চাকা সচল করতে বেশ কিছুটা সময় নিলেও, সময় গড়ানোর সাথে সাথে রান পেতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে নেপালের বোলিং তোপে বেশিদূর এগোতে পারেনি।
রেজা হেন্ড্রিকস ছাড়া কোনো প্রোটিয়া ব্যাটার গড়তে পারেননি প্রতিরোধ। ৪৯ বলে তাঁর ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের কল্যাণেই ১১৬ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
স্বল্প লক্ষ্য দেখে নেপালের মনে জেগেছিল প্রোটিয়া বধের আশা। তাই আসিফ শেখরা তাঁদের ব্যাটিং ইনিংস শুরু করেন বেশ দেখে শুনেই। সুযোগ বুঝে ব্যাট চালাতে থাকেন তাঁরা। তবে একটা সময় পর রান বৃদ্ধির সাথে সাথে উইকেটও হারাতে থাকে নেপাল। দলের রান শতকের ঘরে পৌছালে নেপাল হারায় আসিফের উইকেট। ততক্ষণে নেপালের পাঁচ ব্যাটার প্যাভিলিয়নের দিকে পৌঁছে গিয়েছেন।
আর তাতেই যেন খানিকটা খেই হারায় নেপাল। শেষ ওভারে তাঁদের প্রয়োজন ছিল ৮ রান আর হাতে ছিল ৪ উইকেট। খুব বেশি কঠিন কাজ না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার ওটনিল বার্টম্যানের কাছে ধরাশায়ী হয় সন্দীপ লামিছানেরা। ইনিংসের শেষ বলে গুলশান ঝাকে আউট করে মাত্র ১ রানের জয় পেয়ে যায় এইডেন মার্করামের দল।
অভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল নেপাল লড়াই করে যায় দাপটের সাথে। লড়াই চালিয়ে যায় ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। তবে জয়টা আসেনি আসিফ শেখ-কুশল মাল্লাদের অনুকুলে। আর মূলত এই পরাজয়েই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় নেপাল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে তাঁদের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা।