চোকার্স তকমা ঘোচানোর চেষ্টা প্রোটিয়াদের

চলমান বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো এইডেন মার্করাম বাহিনী।

যদি ইন্টারনেটে চোকার্স লিখে সার্চ দেয়া হয়, পরক্ষণেই চলে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের নাম। কারণটা তো সবারই জানা। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে সুপার এইটের পর্বে সেই তকমা সরানোর চেষ্টাই করেছে প্রোটিয়ারা। দিনশেষে তাঁরা সফলতার দেখাও পেয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছে ৭ রানের জয়।

চলমান বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো এইডেন মার্করাম বাহিনী। কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ নক এবংপরের ইনিংসে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কল্যাণে জশ বাটলারদের রুখে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত ফিফটিতে কালো মেঘের আগমন ঘটতে শুরু করেছিল প্রোটিয়া শিবিরে। তবে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থমকে যায় ইংলিশদের ইনিংস।

১৫ তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা বিলিয়ে দেন ১৮ রান। যা ঐ সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইংলিশ শিবিরে। ঠিক তখনি খেই হারানো শুরু করে প্রোটিয়ারা। শেষের ৩০ বলে ৫৮ রানের প্রয়োজন ছিল ইংলিশদের। ২২ গজে তখন ইংলিশদের রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্বে লিয়াম লিভিংস্টোন এবং হ্যারি ব্রুক।

এই দুই ব্যাটার একের পর এক বাউন্ডারি হাকিয়ে নসাৎ করে দিতে থাকে প্রোটিয়াদের সকল পরিকল্পনা। শেষের ৬ বলে ইংলিশদের যখন প্রয়োজন ১৪ রান, তখন মার্করাম বল তুলে দেন এনরিখ নরকিয়ার হাতে। তিনিও রাখেন সেই আস্থার প্রতিদান। প্রথম বলেই শিকার করেন ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুকের উইকেট।

তবে সেটার কৃতিত্ব প্রোটিয়া অধিনায়কেরই প্রাপ্য। ১৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে হ্যারি ব্রুকের শূণ্যে ভাসিয়ে দেয়া ক্যাচ দুর্দান্ত এক লাফে তালু  বন্দি করেন প্রোটিয়া দলপতি মার্করাম। তাছাড়া ৬ উইকেটের সবগুলোতেই ইংলিশ ব্যাটারদের ক্যাচ তালু বন্দি করে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা। বোঝাই যাচ্ছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিসের অধ্যায়টি বেশ মনোযোগ দিয়েই পাঠ করা হয়েছে ক্লাসেন-মহারাজদের।

সামনে এখন শুধু ক্যারিবীয় বাঁধা। সেই বাঁধা অতিক্রম করেই, মার্করাম বাহিনী পৌঁছে যাবে সেমি ফাইনালের বন্দরে। আর ইংলিশদের বিপক্ষে এই জয় বেশ বাড়তি শক্তিই যোগাবে প্রোটিয়া শিবিরে। সেই সাথে ঘুচবে চোকার্স তকমা।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...