অবশেষে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কালো ছায়া পড়লো পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মঞ্চে। এমনকি নিরাপত্তাজনিত কারণে বাতিল হলো পেশোয়ার জালমি বনাম করাচি কিংসের ম্যাচ। আর যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্যও।
বাংলাদেশি দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানা রয়েছেন পিএসএল খেলার জন্য। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে ভুগছেন তাঁরা। শুধু বাংলাদেশি নন, নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে সব বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও। ফলে, পিএসএলের বাকি অংশে বিদেশিদের মাঠে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম!
পিএসএলে নাহিদ রানার পেশোয়ার জালমির ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। তবে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ভারতীয় একটি ড্রোন ভেঙে পড়ে, শোনা যাচ্ছে আহত হয়েছেন দু’জন। পরবর্তী ম্যাচ গুলো মাঠে গড়ানো নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
এমন অবস্থায় দ্রুত আজকের ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। সেই সাথে অন্যান্য ম্যাচের সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনার কথা রয়েছে।
ক্রিকেটপাড়ায় এই ঘটনা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ জোরে সোরেই। ইতোমধ্যেই বিদেশি খেলোয়াড়রা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পাকিস্তান ছাড়ার। বিশেষ করে, ইংলিশ ক্রিকেটাররা যে করেই হোক পাকিস্তান ছাড়তে মরিয়া বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ। তাই আশঙ্কা রয়েছে পিএসএলের বাকি অংশ পাকিস্তানের স্থানীয় খেলোয়াড় দিয়েই চালাতে হতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তানে থাকা রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানাকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সবকিছু। খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি পাকিস্তান হাইকমিশনের সাথেও নিয়মিত কথা হচ্ছে বোর্ড কর্তাদের। হয়তো, দুই বাংলাদেশি তারকাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জেরে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজটাও। পাকিস্তানে হতে যাওয়া এই সিরিজ খেলতে যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ দল সেখানে যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন!
যদিও বা পাকিস্তানে বাংলাদেশ দল যায়, সেক্ষেত্রে ভেন্যুর পরিবর্তন হতে পারে। কেননা সিরিজের শেষ তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরে। লাহোর পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা যা এই মুহূর্তে রেড জোন। যুদ্ধাবস্তা যে ক্রীড়াঙ্গনেও নিয়ে আসতে পারে স্থবিরতা- সে ভয়বহতা টের পেতে শুরু করেছে ক্রিকেট দুনিয়া।