পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লী ক্যাপিটালসের ম্যাচে ব্যাট বলের লড়াই ছাপিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ঋষাভ পান্তের প্রত্যাবর্তন। যদিও এই প্রত্যাবর্তন রাঙিয়ে রাখতে পারেনি তাঁর দল, স্যাম কারানের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের কল্যাণে ছয় উইকেটে হারতে হয়েছে তাঁদের।
টসে হেরে এদিন আগে ব্যাট করতে নামে দিল্লী, দলকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিল দুই অজি ব্যাটার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ২০ রান করা মার্শকে আউট করে এই জুটি ভাঙ্গেন আর্শ্বদীপ সিং। যদিও রানের চাকা ধীর হয়নি, শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্নার এগিয়ে যান দারুণ গতিতে। কিন্তু এই ওপেনারকে থামতে হয় ২৯ রানে, উইন্ডিজ ব্যাটারও ৩৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
দলটির মিডল অর্ডারে কেউই এরপর দাঁড়াতে পারেননি, অধিনায়ক পান্ত করেছেন ১৩ বলে ১৮ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ রান। ১৪৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে দিল্লি গড়পড়তা পুঁজি নিয়ে ইনিংস শেষ করার ক্ষণ গণনা করছিল, তবে অভিষেক পোড়েল বদলে দেন দৃশ্যপট।
এই তরুণ হার্শাল প্যাটেলের করা বিশতম ওভারে আদায় করেন ২৫ রান, শেষপর্যন্ত তাঁর ১০ বলে ৩২ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১৭৪ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
১৭৫ রান তাড়া করার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন শিখর ধাওয়ান, কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। খানিক পরে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো কাটা পড়েন রান আউটে। ফলে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব, যদিও তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ রান আসায় সেই চাপ অনেকটাই কাটিয়ে উঠে তাঁরা।
তবে পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন কুলদীপ যাদব। অন্যপ্রান্তে অবশ্য অবিচল ছিলেন স্যাম কারান, ড্রেসিংরুমের ভরসা তাই তাঁর উপরেই ছিল বেশি। ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি, ৩৯ বলে পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। এই অলরাউন্ডারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের পথও সহজ হয়ে যায় অনেকটা।
ব্যক্তিগত ৬৩ রানে আউট হন তিনি, ততক্ষণে অবশ্য কাজের কাজটা করে ফেলেছিলেন। তাই তো উনিশতম ওভারে মাত্র চার আসা সত্ত্বেও বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সমস্যা হয়নি লিয়াম লিভিংস্টোনর। এই হার্ডহিটারের অপরাজিত ৩৮ রানে চার বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ধাওয়ান বাহিনী।