কার্যকারিতা ও পারফরমেন্স, রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের মূল স্তম্ভ

ড্রয়িং বোর্ডে রীতিমত কৌশল এঁকে এঁকে, খেলোয়াড়দের বাছাই করেছিল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। অন্তত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিলামঘরে- তেমনটিই মনে হয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। আর ছক কষার কাজটা করেছেন মূলত হান্নান সরকার।

ড্রয়িং বোর্ডে রীতিমত কৌশল এঁকে এঁকে, খেলোয়াড়দের বাছাই করেছিল রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স। অন্তত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিলামঘরে- তেমনটিই মনে হয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। আর ছক কষার কাজটা করেছেন মূলত হান্নান সরকার।

যার শুরুটা তারা করেছিল তানজিদ হাসান তামিমকে দলে নিয়ে। এরপরের চুক্তিতেই তারা অধিয়ানক হিসেবে নিজেদের দলে নিয়ে নেয় নাজমুল হোসেন শান্তকে কেন্দ্র করে। নিলাম থেকে তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মুরাদ, রিপন মণ্ডল, এস এম মেহরব হোসেনদের মত পারফরমারদের দলে ভিড়িয়েছে।

এমনকি এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স থেকে প্রাপ্ত রত্ন আবদুল গাফফার সাকলাইনকেও দলে ভিড়িয়েছে রাজশাহী। অধিকাংশ খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ফর্ম তারা রেখেছে বিবেচনায়। অন্যদিকে বিদেশি খেলোয়াড় দলের ভেড়ানোর ক্ষেত্রে, তারা নিয়ামক হিসেবে বেছে নিয়েছে ইম্প্যাক্টকে। মোহাম্মদ নওয়াজ, জিমি নিশামের মত নামগুলো সেই চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি।

এবারের দ্বাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে, তাদের শুরুর একাদশের একটা সম্ভাব্য চিত্র অঙ্কন করলেও বেঞ্চেও থেকে যাচ্ছে বেশ কার্যকর খেলোয়াড়দের নাম। স্বাভাবিকভাবে পাকিস্তানের শাহিবজাদা ফারহানের সাথে তানজিদ হাসান তামিম নামবেন ওপেনিংয়ে। এখানেও ডানহাতি-বামহাতি কম্বিনেশনটা মাথায় রেখেছে রাজশাহী টিম ম্যানেজমেন্ট।

তিন নম্বরে যথারীতি নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটিং করবেন। চারে বিপিএলের অন্যতম সফল ব্যাটার মুশফিকের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পাঁচে আকবর আলী। এই পর্যন্ত ইনিংস গভীরে নেওয়ার কাজটা চালাতে চাইবে রাজশাহী। এরপরই শুরু হবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। যার সূত্রপাত ঘটাবেন স্বদেশী তরুণ মেহরাব হোসেন। তাকে সঙ্গ দেবেন মোহাম্মদ নওয়াজ। সাকলাইন, সাকিব দুইজনই আবার ব্যাটটা চালাতে জানেন।

অতএব ইনিংসের শেষভাগে, দ্রুত কিছু রান তোলার চেষ্টাই করতে দেখা যাবে রাজশাহীকে। তাছাড়া এই দুইজন যে, বোলিংয়ের অন্যতম অস্ত্র হবেন, তা নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই। তাদের সাথে পেস বোলিংয়ে রিপন মণ্ডলের মিশ্রণ গড়ে তুলতে পারে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। অন্যদিকে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে সন্দীপ লামিচানে রয়েছে রাজশাহীর ডেরায়। নওয়াজের বোলিংও তো ভীষণ ক্ষুরধার।

এমন এক একাদশ নিয়ে নামতে চাইলে রাজশাহীর ডাগআউটে ইয়াসির আলী রাব্বি, হাসান মুরাদ, হুসেন তালাত, জিসান আলমদের মত ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড়দের বসেই কাটাতে হবে দিন। প্রথম একাদশ ব্যর্থ হলে, বদলি হিসেবে যে কাওকে অনায়াসে একাদশে যুক্ত করা সম্ভব। আইএল টি-টোয়েন্টি শেষে জিমি নিশাম যুক্ত হলে, দলের ভারসাম্য বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।

অন্যদিকে হান্নান সরকারের ম্যান ম্যানেজমেন্ট ও ম্যাচের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা, রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সকে টেনে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। আকবার আলীর শিরোপা জয়ের ওই ঐশ্বরিক শক্তির সহয়তা পেলে, রাজশাহী ওয়ারিয়ার্স প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সক্ষমতা রাখে। স্কোয়াড অন্তত সেই বার্তাই দিচ্ছে জোরেসোরে।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link