পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। নিজেদের র্সবশেষ ম্যাচেও হেরেছিল দুই দলই। তাই ঘুরে দাঁড়াতে আজকের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। আর এই ম্যাচে জস বাটলরের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল। আর আজ হেরে প্লে অফের দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
তবে বড় রান তাড়া করতে নেমে যে রকম শুরুর প্রয়োজন ছিলো হায়দ্রাবাদকে সেটিই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মনীষ পাণ্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস। মনীষ পাণ্ডে ৩১ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে গেলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
এরপর বিজয় শঙ্কর ও জনি বেয়ারস্টো দ্রুত ফিরে গেলে ৮৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। মোহাম্মদ নবী ও কেন উইলিয়ামসন ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে না পেরে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় হায়দ্রাবাদ।
শেষের দিকে কেদার যাদব ও আব্দুল সামাদের ছোট দুটি ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় হায়দ্রাবাদ। রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এছাড়া প্রোটিয়া পেসার ক্রিস মরিস নেন ক্রিস উইকেট।
তবে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটা ভালো হয়েছিল না। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার যশস্বী জ্যাসওয়ালকে হারায় রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাজস্থানকে।
দ্বিতীয় উইকেটে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলারদের উপর চওড়া হয়ে ৮২ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন জশ বাটলার ও স্যামসন। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে স্যামসন ফিরে গেলেও থেমে থাকেনি রাজস্থানের রানের চাকা। রিয়ান পরাগকে সাথে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাত্র ১৪ বলে ৪২ রান যোগ করেন জশ বাটলার।
১৭তম ওভারের শেষ বলে ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এক ওভার পর ৬৪ বলে ১২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরে যান বাটলার। ১১ টি চারের সাথে আটটি ছয় ছিল বাটলারের এই ইনিংসে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। পরাগ ৮ বলে ১৫ রান করে ও মিলার ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। হায়দ্রাবাদের বোলারদের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন রশিদ খান, বিজয় শঙ্কর ও সন্দীপ শর্মা।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজস্থান রয়্যালস: ২২০/৩ (ওভার; ২০; বাটলার- ১২৪, জ্যাসওয়াল- ১২, স্যামসন- ৪৮, পরাগ- ১৫*, মিলার- ৭*; রশিদ- ৪-০-২৪-১, বিজয়- ৩-০-৪২-১, শর্মা- ৪-০-৫০-১)
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ: ১৬৫/৮ (ওভার; ২০, বেয়ারস্টো- ৩০, পাণ্ডে- ৩১, বিজয়- ৮, উইলিয়ামসন- ২০, নবী- ১৭, সামাদ- ১০, যাদব- ১৯; মুস্তাফিজুর- ৪-০-২০-৩, মরিস- ৪-০-২৯-৩, রাহুল- ৪-০-৪৫-১)
ফলাফল: রাজস্থান রয়্যালস ৫৫ রানে জয়ী।