রাকিবের শক্তি বাংলাদেশের স্তম্ভ

হামজা চৌধুরী, সামিত সোমদের এই বাংলাদেশ দলে রাকিব যে ঠিক কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। তা বরং আরও একটিবার টের পাওয়া গেছে ভারত ম্যাচে।

‘স্পিড’- রাকিব হোসেনের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। উইং ধরে তিনি ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে যাবেন বল নিয়ে। বাড়িয়ে দেবেন ডি-বক্সের কোন এক টার্গেট ম্যানের কাছে- এমন সব দৃশ্যই তো দেখতে চেয়েছিল সকলে। যখনই রাকিবকে ফেরানো হল তার স্বভাবজাত জায়গায়, তখনই তিনি দেখালেন গতির ঝলক। শেখ মোরসালিনের পা থেকে আদায় করিয়ে নিলেন ভারতের বিপক্ষে জয়সূচক একটি মাত্র গোল।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে হামজা চৌধুরী সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, তারা আছেন দল গড়ার পথে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ফুটবলের নবজাগরণের মশাল বাহক হওয়া প্রথম দলটা এখনও পুরোপুরি নয় প্রস্তুত। পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে আরও প্রচুর। কিন্তু সেই দলের ভিত্তি থাকবে মজবুত। আর সেই পোক্ত ভিত্তির অন্যতম কাণ্ডারি রাকিব হোসেনও।

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে রাকিব গোল করেছেন দুইটি। একটি হংকংয়ের মাটিতে হংকংয়ের বিপক্ষে। যে ম্যাচটি বাংলাদেশ ড্র করেছিল ১-১ সমতায়। আরেকটি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের ম্যাচে। এছাড়াও ভারত বধের একমাত্র গোলের জোগানদাতাও ছিলেন তিনি।

হামজা চৌধুরী, সামিত সোমদের এই বাংলাদেশ দলে রাকিব যে ঠিক কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। তা বরং আরও একটিবার টের পাওয়া গেছে ভারত ম্যাচে। রাকিবকে তার স্বভাবজাত উইং প্লে-এর দায়িত্ব দেওয়ার পরিপূর্ণ ফলটাই পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ অধিকাংশ ম্যাচে তাকে খেলতে হয় একজন স্ট্রাইকার হিসেবে। সেখানেই বরং রাকিব নিজের ছায়ায় পরিণত হন।

বাংলাদেশের ফুটবল দলে একজন জাত স্ট্রাইকারের অভাব। সেই অভাব পূরণে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা রাকিবকে ফেলে দিচ্ছেন অস্বস্তিকর অবস্থায়। আর তাতে করে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে রাকিবের মান, তার সক্ষমতা। অথচ তার সহজাত পজিশনে তিনি প্রায় প্রতিটা মুহূর্তে ভীষণ ভয়ংকর।

তাই বাংলাদেশ দলের উচিত, দলের স্তম্ভগুলোকে যথাযথ স্থানে রেখে, অভাব পূরণের অন্বেষণে নামা। জোর করে রাকিবকে স্ট্রাইকার বানানোর অপ্রচেষ্টা বন্ধ করে, তাকে ওড়ার স্বাধীনতা দিতে হবে। হয়ত তিনি দল গড়ার এই কঠিন সময়েও এনে দেবেন গৌরবের আরও অনেক স্মৃতি।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link